আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর: পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় প্রতিবছর ঘন কুয়াশা পড়ে, যার ফলে লাগাতর দুই তিন দিন সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। এই সময় আলু গাছে ছত্রাক জনিত সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে আলু গাছকে ছত্রাক জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করার বিষয়ে চাষী ভাইদের উদ্দেশ্যে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যিক উদ্যান এবং বাগিচা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ড. রাজীব ঘোষ। তিনি নিজে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আলুর জমি পরিদর্শন করেন। এবং তিনি জানান - বর্তমানে সকালের কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা এবং দিন-রাতের তাপমাত্রার বড় তারতম্যের কারণে ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তাই রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতি লিটার জলে ম্যানকোজেব ৩ গ্রাম অথবা রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম হারে স্প্রে করা যেতে পারে। স্প্রে অবশ্যই দিনের শুকনো ও পরিষ্কার (রৌদ্রোজ্জ্বল) সময়ে করতে হবে, যাতে ওষুধ ভালোভাবে পাতায় লাগে এবং কার্যকারিতা বেশি হয়।
দ্বিতীয়ত, আলু রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর, মাটি চাপা দেওয়ার (earthing up) আগে প্রস্তাবিত নাইট্রোজেন সারের (ইউরিয়া) বাকি ৫০% পরিমাণ প্রয়োগ করতে হবে।
তৃতীয়ত, নিয়মিত ভাবে জমি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং যদি কোনো অস্বাভাবিক বা ভিন্ন জাতের (off-type) গাছ দেখা যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা তুলে ফেলতে হবে। এতে ফসলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং জাতের বিশুদ্ধতা বজায় থাকবে।
চতুর্থত, আলু চাষে জলের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ীই সেচ দিতে হবে। অতিরিক্ত ও ঘন ঘন সেচ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ দীর্ঘ সময় মাটিতে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ছত্রাকজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ায়। মাটির আর্দ্রতার অবস্থা এবং ফসলের বৃদ্ধি পর্যায় অনুযায়ী সেচ পরিকল্পনা করলে রোগের আক্রমণ কমে এবং সামগ্রিকভাবে ফসলের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
0 মন্তব্যসমূহ