Advertisement

Responsive Advertisement

শীতের সন্ধ্যায় সরস মেলায় রোজেলা ও মরিঙ্গা পানীয় আমেজ নিয়ে আসুন


   
                             সুদীপ নাথ


আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর: রাজধানী আগরতলার হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গনে আয়োজিত ২০ তম আঞ্চলিক সরস মেলা শেষ হওয়ার আর হাতেগোনা দুইদিন বাকি। এ বছরের আঞ্চলিক এই সরস মেলা প্রকৃত অর্থেই বৈচিত্রময়। ত্রিপুরা রাজ্যের জাতি -জনজাতিদের চিরাচরিত খাবার দাবার পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে নানান গৃহস্থালি সামগ্রীর যেমন সমাহার রয়েছে, তেমনি দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানা ও উত্তর পূর্বের সাত বোনের এক ভাই নামে পরিচিত সিকিম রাজ্য থেকেও নানা সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন স্ব- সহায়ক দলের দিদিরা। 
তাই এই মেলায় গেলে দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত চন্দন কাঠের সুগন্ধি থেকে শুরু করে ভারতের প্রথম অর্গানিক রাজ্য সিকিমের অর্গানিক খাবার-দাবারের স্বাদ পাবেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের আট জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় যে সকল দেশীয় জাতের শাকসবজি ফলমূল থেকে শুরু করে হস্তশিল্পের সামগ্রী রয়েছে এগুলো নিয়েও এসেছেন দিদিরা। শুধুমাত্র চিরাচরিত এবং গ্রামীণ জিনিসপত্রই নয় ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের কল্যাণে যে আজকে রাজ্যের দিদিরা লাখপতি হয়ে উঠেছেন তাদের সাফল্যের গল্পও জানতে পারবেন। সেই সঙ্গে দিদিদেরকে আধুনিক এবং দেশের অন্যান্য প্রথম সারির রাজ্য গুলির অন্য সামগ্রী সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার মত সব ক্ষমতা অর্জন করেছেন তারও ঝলক দেখতে পাওয়া যায়। 
 বর্তমান সমাজে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের অর্গানিক পণ্য তৈরি করছেন দিদিরা তারও ঝলক পেয়ে যাবেন এখানে। এবছর মেলায় নজর কেড়েছে গ্রামীণ জীবিকা মিশনের ধলাই জেলার থিম প্যাভিলিয়ন। হাজার বছরের রাজ্যের জনজাতিদের ঐতিহ্যবাহী টং ঘর তারা করে তৈরি করেছেন থিমকে বলিয়ান হিসেবে। সেই সঙ্গে তারা রোজেলা এবং মরিঙ্গা অর্থাৎ সাজনা পাতার কোমল পানীয়র ব্যবস্থা করেছেন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আজকাল যা চায়ের বিকল্প হিসেবে পান করেন। মধু আদা সহ নানা বেজো শো উপাদানের সঙ্গে যখন হালকা শীতে চায়ের মত এইসব উষ্ণ পানিয়তে চুমুক দেওয়া হয় সে এক অপূর্ব অনুভূতি। সেই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে আয়োজিত রাজ্যের নানা বয়সি শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা বাড়তি পাওনা। সব মিলিয়ে ২০ তম আঞ্চলিক সরস মেলা হয়ে উঠেছে ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন। তাই কাজের ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে এই মেলায় না গেলে আফসোস হওয়াটাই স্বাভাবিক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ