Advertisement

Responsive Advertisement

২০১৮ সাল থেকে ফসল বীমা যোজনার মাধ্যমে ১.২৩ লাখের বেশি কৃষক উপকৃত: কৃষিমন্ত্রী




আগরতলা, ১৯ ডিসেম্বর: বর্তমান রাজ্য সরকার ও কৃষি দপ্তর কৃষকদের সুবিধা প্রদানে কোনো রাজনৈতিক রঙের ভেদাভেদ করে না।
আজ পোয়াংবাড়ি আর.ডি ব্লকের প্রাঙ্গণে অবস্থিত পোয়াংবাড়ি কৃষি উপ-শাখা, ভিলেজ লেভেল ফার্মার্স অ্যাডভাইজরি সেন্টার এবং এগ্রি ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ-কম-ট্রেনিং সেন্টার–যা আধুনিক আইটি সুবিধা সম্বলিত–উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ।
মন্ত্রী বলেন ৮৯ বছর বয়সী একজন কৃষক এখনও কাজ করছেন এবং নিজের ইচ্ছে ও উদ্যমে ধান চাষ করছেন, সরকারের জন্য অপেক্ষা করছেন না। কৃষি আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি, এবং আমাদের কৃষিকে শক্তিশালী করতে হবে যেন দেশও শক্তিশালী হয়। কৃষি ব্যর্থ হলে সবকিছু ব্যর্থ হবে। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। আজ পোয়াংবাড়িতে ৩.১২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি উপ-শাখা স্থাপন করার। ২০১৮ সালের আগে এখানে ৩৬টি এসএ অফিস ছিল, এখন তা ৪৭-এ উন্নীত হয়েছে। প্রতিটি স্থানে আমরা এই অফিসগুলো স্থাপন করতে চাই, যেখানে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, আইটি সুবিধা, সার ও কৃষি উপকরণের ব্যবহার সংক্রান্ত পরামর্শ এবং বিশেষজ্ঞ নির্দেশিকা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন এখন কৃষির সংজ্ঞা বদলে গেছে। আমরা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিক কৃষিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমলিঘাটে আমরা ৮২ লাখ টাকার কৃষক বন্ধু কেন্দ্র উদ্বোধন করেছি। আমাদের রাজ্য সরকার কৃষিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। দক্ষিণ জেলা কৃষিতে ভালো করছে। সরকারি কর্মচারীরা হরতাল করেন, কিন্তু কৃষক কখনও হরতাল করেন না। যদি কৃষক হরতাল করতেন, মানুষ খাবার ছাড়া হত। কৃষকই দেবতা। প্রায় ৪.৭২ লাখ ত্রিপুরার কৃষক রাজ্যের মানুষদের খাদ্য সরবরাহ করছেন। আমরা চাই কৃষকের উন্নয়ন হোক, আর কৃষকের সুবিধা দেওয়ার সময় আমরা কোনো রাজনৈতিক রঙ দেখি না। পূর্বে কৃষকরা মঞ্চে স্থান পেতেন না, এখন আমরা তাদের সেই স্থান দিচ্ছি। কৃষক ও কৃষিই আমাদের ভিত্তি।
মন্ত্রী আরও জানান পূর্ববর্তী সরকারের শেষ সাত বছরে ফসল বীমা যোজনার আওতায় ৪,৯২২ জন কৃষক ১.৭০ কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছিলেন, তবে ২০১৮ সালের পর থেকে প্রায় ১.২৩ লাখ কৃষক ১০.৬০ কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন। পূর্বে কোনো কে ভি কে ছিল না, এখন ৩৬টি কে ভি কে স্থাপন করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ