আগরতলা, ২০ডিসেম্বর : রবিবার দেশজুড়ে পালিত হবে জাতীয় টিকাকরণ দিবস। এদিন রাজ্যে পালস পোলিও টিকাকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। মহারানী তুলসীবতী বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৪ বছর ধরে ভারত পোলিও-মুক্ত থাকলেও প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে এখনও পোলিও ভাইরাসে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতেও সাম্প্রতিক সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় রোগটি আবার এই দেশে প্রভাব ফেলতে পারে। দেশের পোলিও-মুক্ত অবস্থান বজায় রাখতে নিয়মিত পালস পোলিও টিকাকরণ এবছরও পালিত হচ্ছে। পাঁচ বছরের নিচে প্রত্যেক শিশুকে দুই ফোঁটা পোলিও’র ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই ফোঁটা ডোজ-ই শিশুদের ভবিষ্যতে হাত–পা অকেজো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে রক্ষা করতে পারে।
রাজ্যের প্রত্যেকটি এলাকায় অস্থায়ী টিকাকরণ কেন্দ্র, স্কুল, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলিতে বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে। ত্রিপুরা রাজ্যে এ বছরের পালস পোলিও কর্মসূচি সফল করতে স্বাস্থ্য দপ্তর ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এই অভিযানে শূন্য থেকে ৫ বছরের ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৭৪ জন শিশুকে পোলিও’র ডোজ খাওয়ানো হবে । ৩ হাজার ৪০৯ টি টিকাকরণ বুথে ১৩ হাজার ৬৩৬ জন টীকাদানকারী পোলিও’র ডোজ খাওয়াবেন। ৬৮২ জন সুপারভাইজার পুরো কর্মসূচি তদারকি করবেন। যেসব শিশু ২১ ডিসেম্বর ডোজ নিতে পারবে না, তাদের ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পোলিও’র ডোজ খাওয়াবেন।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৬৮ হাজার ৩৪৮ জন, উনকোটি জেলায় ২৮ হাজার ১০০ জন, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩৬ হাজার ৩৮৯ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৪৭ হাজার ৬৫৬ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৪৫ হাজার ৭৭২ জন, খোয়াই জেলায় ২৯ হাজার ৯৪৮ জন, গোমতী জেলায় ৩৬ হাজার ৯৭৬ জন এবং ধোলাই জেলায় ৪৭ হাজার ৬৮৫ জন শিশুদের পোলিও ডোজ খাওয়ানো হবে।
স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের প্রতিটি এলাকা পোলিও টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনতে বিশেষ নজরদারি ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। একটি শিশুও যেন এই কর্মসূচির বাইরে না থাকে, সেই লক্ষ্য নিয়ে ডোর-টু-ডোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুটি ফোঁটা আজ, সুস্থ জীবন কাল।
আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা শ্রী সাজু ওয়াহিদ এ, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের যুগ্ম মিশন অধিকর্তা ডাঃ নূপুর দেববর্মা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব ডাঃ শৌভিক দেববর্মা, স্টেট ইমিউনাইজেশন অফিসার ডাঃ শ্রীবাস দেববর্মা, স্টেট প্রোগ্রাম অফিসার (আর সি এইচ ) ডাঃ ঈশিতা গুহ প্রমুখ।
0 মন্তব্যসমূহ