Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যকে আলু উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে এআরসি প্রযুক্তি আনা হয়েছে : রতন লাল নাথ



আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর: রাজ্যে বছরে আলুর প্রয়োজন হল ১৫লক্ষ ৫০হাজার কেজি, এর মধ্যে রাজ্যে গড়ে প্রতি বছর আলু উৎপাদিত হয় প্রায় ১৪লক্ষ ৪৬হাজার কেজি। প্রায় ১লক্ষ কেজি আলু বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় প্রতি বছর। রাজ্যকে আলু উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর আলু চাষে এফআরসি পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হয়েছে। রাজ্যিক উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০২৩সাল থেকে এই পদ্ধতিতে আলু চাষ শুরু হয়েছে। এবছর রাজ্যের প্রায় পাঁচ হাজার কৃষককে এই পদ্ধতিতে আলু চাষের জন্য সহায়তা করা হচ্ছে। আগামী বছর রাজ্যের প্রায় দশ হাজার কৃষককে এই পদ্ধতিতে আলু চাষের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে সহায়তা করা হবে। আগামী ২০২৮ -২৯ অর্থবছরে রাজ্যকে আলো বীজ উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে এর পরবর্তী পর্যায়ে খাবার আলু উৎপাদনে রাজ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এই অভিমত রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথের। বৃহস্পতিবার আমবাসা মহকুমার সালেমা এলাকায় অবস্থিত ধলাই জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত কৃষকের মাঠে এআরসি পদ্ধতির আলো চারা রোপন ও উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ ও কৃষকদের সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা ও কৃষি সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলো বলেন কৃষিমন্ত্রী। 
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সব কৃষকদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা ল্যাব ছেড়ে যেন জমিতে যান এই আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী, তাই গবেষকরা এখন মাঠে যাচ্ছেন কৃষকদের সহায়তা করছেন, এর ফলও পাওয়া যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী কৃষকদের ভগবান হিসেবে মনে করেন, কারণ তারা অন্নদাতা। দেশে ২০কোটি কৃষক ১৪২লক্ষ লোককে খাওয়াচ্ছে তাই তারা ভগবান বলে অভিমত এদিন কৃষি মন্ত্রী। 
কৃষি ও তার সহযোগি ক্ষেত্র থেকে রাজ্যের আয় সবচেয়ে বেশী। কৃষি খাত থেকে আয় হয় সরকারের ৪৫শতাংশ বলেও জানান মন্ত্রী। 
এদিন প্রথমে কেভিকে ধলাই অফিস প্রঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা স্বপ্না দাস, বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা, বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দেববর্মা, ধলাই জেলা পরিষদ সহ-সভাধিপতি অনাদি সরকার, ধলাই জেলা পরিষদের কৃষি স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপ্তি দেব রক্ষিত, বিশিষ্ট সমাজসেবক পতিরাম ত্রিপুরা, বিশিষ্ট সমাজসেবক সুভাষ আহির, সলেমা ব্লক বিএসি চেয়ারম্যান বিমল দেববর্মা, সলেমা পঞ্চায়েত সমিতি চেয়ারম্যান বীণা দাস বিশ্বাস, সলেমা পঞ্চায়েত সমিতি উপ-চেয়ারম্যান ননী গোপাল কর, রাজ্যিক উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ডঃ রাজীব ঘোষ, কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ধলাই জেলার উপ-অধিকর্তা বিদ্যামোহন চাকমা, উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের ধলাই জেলার উপ- অধিকর্তা পরিমল দেববর্মা, কেভিকে ধলাই এর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও প্রধান ড. অভিজিৎ দেবনাথ প্রমুখ।
এদিন কৃষকদের মধ্যে আলু বীজ ও বিভিন্ন ধরণের সব্জি বীজ, কৃষি যন্ত্রপতি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চার জন কৃষকের বীজের জন্য সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। মন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিরা এগুলি কৃষকদের হাতে তোলেদেন। অন্যান্য দিনের মত এদিন কৃষকে মঞ্চে বসানো হয় মন্ত্রীর নির্দেশে। এদিনের এই কর্মসূচিতে প্রায় ৫০০ জন কৃষক উপস্থিত হয়েছিলেন।
সব শেষে মন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিরা স্থানীয় এক কৃষকের মাঠে এ আর সি আলুর চারা রূপন করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ