Advertisement

Responsive Advertisement

আনন্দনগরের ‘লাখপতি দিদি’ স্বপ্না দেবী চানাচুর তৈরি করে নারীদের সামনে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন





আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর:
রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী আনন্দনগরের স্বপ্না দাস রাজ্যের নারী উদ্যোক্তাদের সামনে এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা। ২০১৮ সালে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশন তথা টিআরএলএম –এর সহায়তায় ঋণ নিয়ে শুরু করেন ছোট্ট চানাচুর তৈরির ব্যবসা, যা আজ এক সফল শিল্পে পরিণত হয়েছে। 
তিনি মঙ্গলময়ী গ্রূপের সদস্যা এবং তাদের সিএলএফ এর নাম আনন্দময়ী। স্বপ্না দেবী বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১৩ কুইন্টাল চানাচুর বাজারে সরবরাহ করেন। প্রতিটি বস্তার ওজন প্রায় ৩০ কেজি, এবং প্রতি কেজির বিক্রিমূল্য ১৬০ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি বস্তায় তার আয় দাঁড়ায় প্রায় ৪,৮০০ টাকা। বছরের হিসাবে তাঁ মোট লাভ ছাড়িয়ে যায় ৪৫লক্ষ টাকারও বেশি।
এই শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বর্তমানে তার ইউনিটে মোট ৩৬ জন কর্মী কাজ করেন। যার মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ২৫ জন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্য। তাদের মোট ২লক্ষ ২০হাজার টাকা বেতন হিসেবে প্রদান করেন তিনি।
 গ্রামীণ জীবিকা মিশনের প্রধান নির্বাহী আধিকারিক তড়িৎ কান্তি চাকমা মিশনের পশ্চিম জেলা অফিসের অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে স্বপ্না দেবীর কারখানা পরিদর্শন করেন। তিনি স্বপ্না দেবীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে আরও ঋণ সহায়তার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি জানান, টি আর এল এম এবং আইআইএম কলকাতার সহায়তায় চালু হতে যাওয়া নতুন ইনকিউবেটর স্কিমে স্বপ্না দেবীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
গ্রামাঞ্চলের এক নারী উদ্যোক্তার এমন সাফল্যের গল্প ত্রিপুরায় আত্মনির্ভরতার এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। স্বপ্না দেবী প্রমাণ করেছেন—সঙ্কল্প, পরিশ্রম এবং সঠিক সহায়তা থাকলে যে কোনো উদ্যোগই সফলতার চূড়ায় পৌঁছাতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ