Advertisement

Responsive Advertisement

বন্দে মাতরম্ জাতীয় ঐক্য ও দেশপ্রেমের মন্ত্র: বিদ্যুৎ মন্ত্রী



আগরতলা, ৭ নভেম্বর: বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ বলেন, প্রায় ১৫০ বছর আগে রচিত দেশপ্রেমের পবিত্র স্তোত্র ‘বন্দে মাতরম্’ আজও কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে একই আবেগ ও ছন্দে অনুরণিত হয়ে চলেছে।
মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে ‘বন্দে মাতরম্’-এর ১৫০ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বন্দে মাতরম্ কেবল একটি কবিতা বা গান নয়—এটি ভারতের জাতীয় চেতনা, ঐক্য ও আত্মত্যাগের প্রতীকস্বরূপ এক মন্ত্র।”
মন্ত্রী জানান, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভক্তিমূলক মন্ত্র ‘বন্দে মাতরম্’ ১৮৭৫ সালে মাতৃভূমির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও প্রেম থেকে রচনা করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, যা পরে ১৮৮২ সালে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস আনন্দমঠ-এ অন্তর্ভুক্ত হয়।
তিনি বলেন তার পর থেকেই এটি হয়ে উঠেছে দেশপ্রেমের আহ্বান—একটি মন্ত্র যা আমাদের এক জাতি হিসেবে আবদ্ধ রাখে। প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও সামাজিক পরিবর্তনের এই যুগেও এই বাক্যাংশ আমাদের জাতির প্রতি অঙ্গীকার ও দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
মন্ত্রী জানান , ২০২৫ সালের ৭ নভেম্বর থেকে সারা দেশে ‘বন্দে মাতরম্’-এর ১৫০তম বর্ষ পালন শুরু হবে। বছরব্যাপী এই উদ্‌যাপনে সামাজিক উদ্যোগ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষামূলক কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার উদ্দেশ্য দেশপ্রেমের চেতনা পুনরুজ্জীবিত করা এবং জাতীয় ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করা।
তিনি আরও জানান, আজাদ হিন্দ সরকারের ঘোষণার সময় ‘বন্দে মাতরম্’ গানটি গাওয়া হয়েছিল এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি পর্বে এটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা বিধানসভায় ২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত রাজনৈতিক কারণে ‘বন্দে মাতরম্’ কখনও গাওয়া হয়নি। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিটি অধিবেশনের শুরুতেই এই গান গাওয়া হচ্ছে এবং প্রতিটি সদস্য শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। এটি প্রকৃত জাতীয় চেতনার পুনর্জাগরণের প্রতিফলন।
যুবসমাজকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন আজ যখন ভাষা, ধর্ম ও আঞ্চলিক বিভাজন আমাদের সমাজে রয়ে গেছে, তখন ‘বন্দে মাতরম্’ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—আমরা সবাই এক। ১৫০তম বর্ষ উদ্‌যাপন এই ঐক্যের বার্তা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ