Advertisement

Responsive Advertisement

এআরসি আলু চাষের সুবিধার কথা শুনে নিজেই চাষ করতে আগ্রহী বিধায়ক রঞ্জিত দাস



আগরতলা, ৬ নভেম্বর: এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষকে রাজ্যের আরো ব্যাপক অংশের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে রাজধানী আগরতলা নাগীছড়া এলাকার রাজ্যিক উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্র। তাদের এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার গোমতী জেলার অমরপুর এলাকায় এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ বিষয়ক একদিনের এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অমরপুর কৃষি মহকুমার উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় স্থানীয় এলাকায় প্রায় ৬০জন কৃষাণ-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। 
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় অমরপুর বিধানসভার বিধায়ক রঞ্জিত দাস, অমরপুর নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান বিকাশ সাহা, অমরপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সুচিত্রা দাস। কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যিক উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্র'র প্রধান ড রাজীব ঘোষ, সহ-অধিকর্তা এ আর সি'র নোডাল অফিসার অরিন মজুমদার, সহ-অধিকর্তা অবিনাশ দাস, অমরপুর কৃষি মহাকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক শমিত ভট্টাচাৰ্য সহ অন্যান্য কৃষি অধিকারীরা। 
কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড রাজীব ঘোষ কৃষকদের অবগত করেন, কেন তারা পূর্বতন পদ্ধতির আলু চাষ ছেড়ে নতুন এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ করবেন। এর কারণ হিসেবে তিনি কৃষকদের জানান, এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করলে ফলন দুই থেকে তিন গুণ হয়, ফলে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য যে সকল জাতের বীজ দেওয়া হয় এগুলির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি তাই ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে এবং উচ্চ ফলন পাওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত হয়। 
পাশাপাশি এদিন কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অরিন মজুমদার, ছবির সাহায্যে আলু, আলুর বীজ, জমির বিভিন্ন তথ্য, চাষের পদ্ধতি, জলসেচ, সার প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। 
উপস্থিত কৃষকরা আগ্রহের সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শুনেন। পাশাপাশি কৃষকরা তাদের মনে আশা নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন বিশেজ্ঞদের, তারা কৃষকদের প্রশ্নের জবাব দেন। অমরপুর কৃষি মহকুমা অফিসের কনফারেন্স হলে কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়। 
কর্মশালার শেষে বিধায়ক রঞ্জিত দাস নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আলু চাষ'র জন্য এ আর সি পদ্ধতি সময় উপযুক্ত, এই পদ্ধতিতে চাষীরা চাষ করলে আরও বেশি লাভবান হবেন। এবছর অমরপুরে প্রথম বার এই পদ্ধতিতে আলু চাষ হবে, চাষীরাও লাভবান হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে তিনি নিজেও একজন চাষী এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করতে আগ্রহী এবং নিজের জমিতে এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করতে জান বলে চান বলে জানান।
 এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ বিষয়ক একদিনের এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো অমরপুর কৃষি মহকুমার উদ্যোগে। এই কর্মশালায় প্রায় ৬০ জন কৃষক অংশ নিয়েছিল। 
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত নলছড়, চড়িলাম, কাঁকড়াবন, জোলাইবাড়ি, কিল্লা ও অমরপুর এআরসি বিষয়ক ট্রেনিং ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের মোট ৪৬টি কৃষি মহকুমাতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ