আগরতলা, ৫ নভেম্বর: কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ ব্রহ্মকুণ্ড মেলাকে ইতিহাসসমৃদ্ধ ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক উৎসব হিসেবে বর্ণনা করেন, যা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতির প্রতীক।
রাসপূর্ণিমার পবিত্র দিনে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী ব্রহ্মকুণ্ড মেলা ও প্রদর্শনী-র উদ্বোধন উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই মেলা কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং মানবতা, সম্প্রীতি ও একতার উৎসব। এখানে বিশ্বাস ও অনুভূতির মিলনে ব্রহ্মকুণ্ড এক পবিত্র কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন রাসপূর্ণিমার এই শুভক্ষণে আমি সকলের সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি এবং সবাইকে শান্তি ও আনন্দের সঙ্গে মেলা উপভোগের আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্ত্রী জানান, ব্রহ্মকুণ্ড এলাকার উন্নয়নের জন্য মোট ১৩ কোটি ৯৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৮২৫ টাকা অনুমোদিত হয়েছে। খুব শীঘ্রই মেলার মাঠের সৌন্দর্যায়ন ও আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হবে, যাতে এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিকশিত হতে পারে।
মন্ত্রী আজকের অনুষ্ঠানে তাঁর বিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি ও ৫৬ বছর আগের দিনগুলির কথা স্মরণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালের যুদ্ধ পরিস্থিতিরও উল্লেখ করেন।
বক্তব্যে তিনি সিমনা এলাকার বহু বিশিষ্ট ও প্রবীণ ব্যক্তির স্মৃতিচারণ করেন যেমন সিমনা এলাকার
গিরীন্দ্র দেব , প্রভাত দেববর্মা , মনমোহন দেবনাথ , ঠাকুরচাঁদ রায় এবং অন্যান্যরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিটিএএডিসির শিক্ষা বিভাগের কার্যনির্বাহী সদস্য রবীন্দ্র দেববর্মা। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল এবং হেজামারা বিএসি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা এবং অন্যান্যরা।
এই মেলা যৌথভাবে আয়োজন করেছে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, মোহনপুর মহকুমা প্রশাসন এবং ব্রহ্মকুণ্ড মেলা কমিটি।
0 মন্তব্যসমূহ