Advertisement

Responsive Advertisement

চিকিৎসকদেরও নিজেদের দক্ষতাকে সবসময় আপডেট করা প্রয়োজন: মুখ্যমন্ত্রী



আগরতলা, ৫ নভেম্বর: রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে সিজা হাসপাতাল। রোগীদের আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয় নির্ভর করে চিকিৎসকদের উপর। চিকিৎসকদেরও নিজেদের দক্ষতাকে সবসময় আপডেট করা প্রয়োজন।

                                   আজ খয়েরপুর সংলগ্ন আরকে নগর এলাকায় সিজা হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
                                    অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, কিছুদিন আগে আমি আমেদাবাদে ন্যাশনাল ফরেনসিক ইউনিভার্সিটিতে ফরেনসিক ওডোন্টলোজি বিষয়ক একটি কার্যক্রমে অন্যতম বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করি। এটা এমন একটা বিষয় যার মাধ্যমে আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের অনেককে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাই আমি ত্রিপুরায় থাকা ফরেনসিক ইউনিভার্সিটিতেও ফরেনসিক ওডোন্টলোজি বিষয়টি চালু করার জন্য তাদের কাছে প্রস্তাব রাখি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় গুজরাটকে একটি মডেল রাজ্য করেছিলেন। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে কৃষি ক্ষেত্র সহ পরিকাঠামোর দিক দিয়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে সেখানে। আমি গুজরাটে গিয়ে সেখানের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করি এবং গুজরাটের মতো বড় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানাই। এতে জাতি জনজাতি মানুষের কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমনি গুজরাটেরও নাম হবে। 
                                    মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, উত্তর পূর্বের আরো একটি ছোট রাজ্য থেকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টান্ত রেখেছে সিজা হাসপাতাল। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে। রোগীদের আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয় নির্ভর করে চিকিৎসকদের উপর। ডাক্তারদেরও নিজেদের দক্ষতাকে সবসময় আপডেট করা প্রয়োজন। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে জিবিতে আমরা ৯টি সুপার স্পেশালিটি শুরু করেছি। কিন্তু তারপরও মানুষ এসে বলেন যে সুপার স্পেশালিস্ট বলেছেন সার্জারির জন্য বাইরে যেতে হবে। তবে সুপার স্পেশালিস্ট থেকে কি লাভ? আর সিজা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি শুরু করার প্রস্তাব নিয়ে আসে আমাদের কাছে। তাদের সহায়তায় ত্রিপুরায় একের পর এক কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সফলভাবে করা হয়। এতে আমাদেরও বিশ্বাস হয়। তাই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য সিজা কর্তৃপক্ষকে প্রায় ২৮ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে। তারা মেডিকেল কলেজ খোলার জন্যও প্রজেক্ট নিয়েছেন। সিজা হাসপাতালের তরফে গোটা প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। 
                                     মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিজা হাসপাতাল গড়ে উঠলে এই এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবেন। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে। আর এই এলাকা দিয়েই রিং রোডের কাজ শুরু হবে। যেটা খয়েরপুর দিয়ে বাইপাস হয়ে যাবে। এরফলে গোটা এলাকার চিত্রটা পাল্টে যাবে। ডাঃ সাহা জানান, নতুন উড়ালপুল নিয়ে আমরা অনেকের কাছে পরামর্শ চেয়েছি। বেশি মানুষকে সমস্যায় না ফেলে কিভাবে করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ইউনিটি মল এর কাজ শুরু হয়েছে। গুর্খাবস্তিতে জি+১৪ ভবন, পুরান মোটরস্ট্যান্ডে মাল্টি লেভেল কার পার্কিং গড়ে তোলা হচ্ছে। ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য শিলচরের একটা সংস্থাকে জমি দেওয়া হয়েছে। 
                                       মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত নর্থ ইস্ট ইনভেস্টর সামিটে আমি অংশ নিই। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার মৌ হয়। এরমধ্যে শুধু ত্রিপুরার জন্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার অধিক মৌ হয়। 

                                       অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, সিজা হাসপাতালের সিএমডি সহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ