Advertisement

Responsive Advertisement

লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ব্যাপক জয় নিয়ে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৭ মার্চ: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ভালো ফলাফল করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। গত লোকসভার চাইতেও এবার আরো অধিক আসন পাবে ভারতীয় জনতা পার্টি। ত্রিপুরার কমিউনিস্ট এবং পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের ধরন এখন প্রায় এক হয়ে গিয়েছে। মানুষকে অত্যাচারের প্রশ্নে এই দুই দলের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। তাদের কাজই হচ্ছে অত্যাচার করা। তাই এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিশায় মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করতে হবে। 
 বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মালদায় ভারতীয় জনতা পার্টির বুথ সভাপতি সম্মেলনে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিনই ভারতীয় জনতা পার্টির বিভিন্ন সংগঠনিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পশ্চিমবঙ্গ যান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। 
 সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আমাকে এধরণের উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ায় আমি সত্যিই আনন্দিত ও আপ্লুত। মনে হচ্ছে পশ্চিমবাংলা ও ত্রিপুরার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদে ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময় আমাদের কোনো বিধায়ক বা জনপ্রতিনিধি ছিল না। তাই অপ্রত্যাশিত হলেও মানুষের আশীর্বাদে ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে সরকার গড়া হয়েছে। ত্রিপুরায় প্রায় ৩৫ বছরের কমিউনিস্ট শাসনে মানুষকে অত্যাচার নিপীড়ন করা হয়েছিল। আর পশ্চিমবাংলাতে তৃণমূল এখন যা করছে তা প্রায় একই রকম। তৃণমূল আসলে সিপিআইএম-এর মতো একই কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে, যা আরও বড় পরিসরে। ত্রিপুরায় এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই পশ্চিমবাংলাতেও তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এজন্য প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি ও বুথে বুথে যেতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। 
                      সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টিতে পদের পেছনে ঘুরলে কোন লাভ হবে না। সমর্পনের ভাবনা নিয়েই কাজ করতে হবে এই দলে। ভারতীয় জনতা পার্টিতে বিস্তারক হিসেবে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী দলকে শক্তিশালী করতে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর উপর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মানুষ সন্দেশখালির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় সন্দেশখালির মতো অনুরূপ ঘটনা ঘটছে। এই রাজ্যের দৃশ্যপট পরিবর্তিত হচ্ছে এবং লোকেরা এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে আগামী দিনে বিজেপি গতবারের চাইতেও আরো বেশি আসন পাবে। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন দিক দিয়ে তাদের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। 
                        মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইতিবাচক কাজগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল স্তরে ফোকাস করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানেই সত্যিকারের উন্নয়ন। উন্নয়ন ছাড়া কিছু ভাবেন না তিনি। মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যও ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরায় স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর (এসএইচজি) সংখ্যা আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। পশ্চিমবাংলা একসময় বঙ্কিমচন্দ্র, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এর মতো মহান ব্যক্তিদের জন্য পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন আমরা শুধু সহিংসতার সাক্ষী। এটা রাজনীতি নয়, জনগণ এটা মেনে নেবে না। 
           এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদা জেলার ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত, সাংসদ খগেন মুর্মু, দক্ষিণ মালদা জেলা সভাপতি পার্থ সারথি ঘোষ, বিধায়ক কিশোর বর্মন, লোকসভার প্রার্থী রূপা মিত্র চৌধুরী সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ