Advertisement

Responsive Advertisement

বিজেপির বিকল্প নেই তাই সবাই বিজেপিতে শামিল হচ্ছেন: রাজীব ভট্টাচার্য


আগরতলা৭ মার্চ : লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে সকল বিরোধীদের এমনকি জোট সঙ্গীদেরকেও পেছনে ফেলে সাংগঠনিক ভাবে মজবুত হচ্ছে বিজেপি। প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী শিবির ভেঙ্গে বিজেপিকে মজবুত করছেন ভোটাররা। বৃহস্পতিবার এমনই এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হলো ৪৮-করমছড়া মন্ডলে। যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত এক যোগদান সভায় কংগ্রেস ও সিপিআইএম দল ছেড়ে ১৪৪ পরিবারের ৪১৬ জন বিজেপিতে যোগদান করেন। এই সকল বিরোধী দল ত্যাগীদেরকে বিজেপিতে শামিল করে নেন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। প্রদেশ সভাপতির পাশাপাশি এদিনের এই সভায় প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক ভগবান দাসসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিকশিত ভারত গড়ার যে সংকল্প নিয়েছেন তাই সব জায়গাতে অন্যান্য দল ছেড়ে ভোটাররা বিজেপিতে যোগদান করছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন তিপ্রামথা দল এদিন বিজেপি সরকারের সঙ্গে শামিল হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মানুষের কল্যাণে বিশেষ করে জনজাতি অংশের মানুষের কল্যাণে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাজের ফলে পাহাড়ি জনজাতি বাঙালি সকল অংশের মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। এই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার যেভাবে কাজ করছে তাই মানুষ অন্য কোন দলকে আর সমর্থন করবে না। বিজেপির কোন বিকল্প হতে পারে না তাই মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপিতে শামিল হওয়ার জন্য। বিজেপি স্লোগানে বিশ্বাস করে না, বিজেপিচায় প্রকৃত উন্নয়ন তাই দল-মত নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জনজাতি অংশের মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের স্বার্থসিদ্ধি করেছে। কিন্তু বিজেপি সরকার মানুষের কল্যাণে কাজ করছে জনজাতির কল্যাণে কাজ করছে, তাই জনজাতিরা এখন এগিয়ে আসতে পারছেন আর্থিক ভাবে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে আরো বেশি আসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যের দুটি আসলেও বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 
 সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিকাশের উপর আস্থা রেখে আজ ৪৮-করমছড়া মন্ডলের যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত এক যোগদান সভায় কংগ্রেস ও সিপিআইএম দল ছেড়ে ১৪৪ পরিবারের ৪১৬ জন বিজেপিতে যোগদান করেছেন। সাধারণ মানুষের উপস্থিতও ছিল চোখে পড়ার মতো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ