আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর: রাজ্যের বর্তমান কৃষি দপ্তর আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি চলতি মরসুমেই খোয়াই ও ধলাই জেলা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ এ তথ্য জানান।
তিনি কলেজ অব অ্যাগ্রিকালচার, ত্রিপুরা এবং নাবার্ড ত্রিপুরা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘রবি পেয়াজ—ত্রিপুরার গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ও জীবিকায়নের সম্ভাবনাময় নগদ ফসল’ শীর্ষক প্রকল্প–সহ–কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন আমাদের মূল লক্ষ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। তাই কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে। রাজ্যের উন্নয়নে কৃষির অবদান ৪৬ শতাংশ—পর্যটন, বাণিজ্য ইত্যাদি বাকি অংশ গঠন করে। কৃষিই আমাদের মূলভিত্তি; কৃষি বলতে আমরা হর্টি, অ্যাগ্রি, মৎস্য ও এআরডিডিকে বুঝি।
তিনি জানান, রাজ্যের আটটি জেলার মধ্যে তিনটি জেলা ইতিমধ্যেই ধানে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং খোয়াই ও ধলাই খুব দ্রুত সেই পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। এই বছর দুই জেলাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। এখন আমাদের লক্ষ্য সবজি, বিশেষ করে আলু উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়া। আলু, টমেটো ও পেয়াজ—এই তিনটি আমাদের অপরিহার্য খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এ কারণে আলু চাষে জোর দেওয়া হচ্ছে। এআরসি পদ্ধতি ব্যবহার করে আলু উৎপাদন বাড়ছে।
পেয়াজ চাষ আর ‘অচিন্তনীয়’ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ত্রিপুরা কৃষি কলেজ, নাবার্ড আগরতলা ও কৃষি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে গত কয়েক বছরে ১২টি রবি পেয়াজের জাত নিয়ে সফল পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন গত চার বছরে তিনটি মৌসুমে ত্রিপুরা কৃষি কলেজ তাদের জমিতে বিভিন্ন জাতের পেয়াজ চাষ করে উপযুক্ত জাত ও রোপণের সময় নির্ধারণ করেছে। ২০২২ থেকে ২০২৪—এই তিন বছরের সফল পরীক্ষার ভিত্তিতে নাবার্ড রবি পেয়াজ চাষ প্রযুক্তি উন্নয়নের প্রকল্প অনুমোদন করেছে। যথাযথ পদ্ধতি ও সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে রাজ্যজুড়ে উচ্চ ফলনের রবি পেয়াজ উৎপাদন সম্ভব। এর ফলে রাজ্যের চাহিদা–জোগানের ব্যবধান কমবে এবং বাইরের রাজ্যের উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ড. ফণী ভূষণ জমাতিয়া, উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের পরিচালক দীপক দাস, নাবার্ডের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কোটমিরে, আইসিএআর–আইএমসির সদস্য প্রদীপ বড়ন রায়, এমওডিসিডিএনইআরের মিশন পরিচালক রাজীব দেববর্মা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট অতিথিরা।
0 মন্তব্যসমূহ