আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর: ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বিশ্ববন্ধু সেন আর নেই। শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তিনি বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলেই জানা গেছে।
বিশ্ববন্ধু সেন ত্রিপুরার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক পরিচিত ও সম্মানিত মুখ। ধর্মনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে একাধিকবার নির্বাচিত বিধায়ক হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংসদীয় রীতিনীতি ও বিধানসভার মর্যাদা রক্ষায় তাঁর ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়।
তাঁর মৃত্যুর খবরে রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোকবার্তায় বলেন, বিশ্ববন্ধু সেন ত্রিপুরার উন্নয়ন ও জনসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর প্রয়াণে দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা অধ্যক্ষের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববন্ধু সেন ছিলেন একজন অভিজ্ঞ, সংযত ও দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি। তাঁর প্রয়াণ রাজ্যের জন্য বড় ক্ষতি। বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীও শোকজ্ঞাপন করে বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি সবসময় বিধানসভার গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিলেন।
এছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রীসভা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিধায়ক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোকবার্তা জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকার অধ্যক্ষের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে উপযুক্ত মর্যাদায় শেষকৃত্যের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর মরদেহ বেঙ্গালুরু থেকে আগরতলায় আনা হবে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্ববন্ধু সেনের প্রয়াণে ত্রিপুরা রাজনীতি একজন অভিজ্ঞ অভিভাবকসুলভ নেতাকে হারাল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
0 মন্তব্যসমূহ