আগরতলা, ১ ডিসেম্বর : একাংশ মানুষের দখলের পথে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী প্রভু বাড়ির পুকুর।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জলাশয়টিকে দখল মুক্ত করে মানুষের ব্যবহারের উপযোগী করে তুলবে আগরতলা পৌরনিগম। সোমবার প্রভু বাড়ির পুকুর পরিদর্শনে গিয়ে এই কথা জানান মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার।
প্রভু বাড়ি, রাজধানী এবং রাজ্যের সকল নাগরিকদের কাছেই সুপরিচিত একটি নাম। দূর্গা বাড়ির মত প্রভু বাড়ির দুর্গাপূজারও সুপ্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে। প্রভু বাড়ির সামনেই একটি জলাশয় রয়েছে। এর নামকরণ করা হয়েছিল প্রভু বাড়ির পুকুর। রাজার আমল থেকেই এই নামকরণ চালু হয়েছিল। কিন্তু এই জলাশয়টি বর্তমানে নিমজ্জিত প্রায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী মুখ্যমন্ত্রীর নিকট অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে প্রভু বাড়ির পুকুরের খোঁজখবর নিতে আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদারকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে সোমবার মেয়র প্রভু বাড়ির পুকুর পরিদর্শনে যান। মেয়রের সাথে ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের কমিশনার ডি কে চাকমা, কর্পোরেটর রত্না দত্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বর্তমানে এলাকাবাসীর আবর্জনা এবং কচুরিপানায় ভরে গেছে প্রভু বাড়ির এই জলাশয়। এদিন নিজের চোখেই তা চাক্ষুষ করেন মেয়র। তিনি আরো দেখেন, জলাশয়ের বিশাল একটা জায়গা আশেপাশের মানুষজন দখল করে নিয়েছেন।পরিদর্শনে গিয়ে প্রভু বাড়ির পুকুরের জমির পরিমাপ কি, কতটা জবরদখলে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানানোর জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মেয়র। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র জানান, অনেকটা জায়গা জুড়েই এই জলাশয় টি ছিল। জলাশয়ের পাড়ের বাসিন্দারা অনেকটা জায়গা দখল করে নিয়েছেন। তাদের কাগজ নিয়ে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। যদি পুকুর জবরদখলের প্রমাণ পাওয়া যায় তবে জবরদখল মুক্ত করার জন্য বলা হবে। নতুবা নিগম নিজের উদ্যোগে প্রভু বাড়ির জলাশয় দখল মুক্ত করবে।
এদিন মেয়র তথা বিধায়ক আরো জানান, পুকুরটির চারধারের পাড় বাঁধিয়ে দেওয়া হবে। আলোর ব্যবস্থা করা হবে। সামাজিক কাজ সহ অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য একটি ঘাট নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ