কর্মশালায় মোট ৪০ জন কৃষক অংশ নেন। গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ডা. রাজীব ঘোষ, ত্রিপুরার এআরসি প্রকল্পের নোডাল অফিসার অরিন মজুমদার এবং হেজামারা কৃষি মহকুমার সুপারেন্টেন্ড বিদ্যাজয় দেববর্মা কৃষকদের উদ্দেশ্যে এআরসি পদ্ধতির গুরুত্ব, সুবিধা এবং চাষপদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে কীভাবে এ প্রযুক্তিতে আলু চাষ করা হয়, তা তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
আলোচনা শেষে কৃষকদের গবেষণা কেন্দ্রের অত্যাধুনিক সেডে নিয়ে এআরসি পদ্ধতিতে আলুর চারা তৈরির প্রক্রিয়া সরেজমিনে দেখানো হয়। জানা গেছে, তিনটি মাইক্রো ওয়াটার সেডের আওতায় মোট তিন হেক্টর জমিতে এ পদ্ধতিতে আলু চাষ হবে। প্রতিটি সেড এলাকায় এক হেক্টর করে জমিতে চাষাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন হেজামারা কৃষি মহকুমার সুপারেন্টেন্ড বিদ্যাজয় দেববর্মা।
কর্মশালায় উপস্থিত কৃষকরা জানান, এআরসি’র নতুন প্রযুক্তি তাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। আধুনিক এই চাষ পদ্ধতি চালু করার জন্য তারা রাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এআরসি পদ্ধতির মাধ্যমে আলুর উৎপাদন বাড়িয়ে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ