Advertisement

Responsive Advertisement

স্বামীনাথনের আদর্শ কৃষক সমাজকে সমৃদ্ধ করার পথে আলো দেখাবে: রতন লাল নাথ



আগরতলা, ২০ আগস্ট: রাজধানীর স্টেট এগ্রিকালচার রিসার্চ স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক এম এস স্বামীনাথনের আবক্ষমূর্তির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। 
ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক বলা হয় দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষি বিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনকে। আগে যেখানে দেশের মানুষের ক্ষুধা মেটানোর জন্য আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা খাদ্য বুঝায় জাহাজের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো সেখানে বিজ্ঞানী স্বামীনাথন ভারতকে কৃষিতে শুধু স্বয়ং সম্পূর্ণই নয় উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদনের উপযোগী দেশ হিসেবে গড়ে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এই বিখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনের আবক্ষমূর্তির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো রাজধানী আগরতলার এডি নগর এলাকার স্টেট এগ্রিকালচার রিসার্চ স্টেশনে। বুধবার মূর্তির অনুষ্ঠানিক আবরণ উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী লাল নাথ, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, বিধায়ীকা মিনা রানী সরকার, আগরতলা পুর নিগমের কর্পোরেটর প্রসেনজিৎ লোধ, কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, দপ্তরের অধিকর্তা ডঃ ফনি ভূষণ জমাতিয়া, জয়েন্ট ডিরেক্টর উত্তম সাহা সহ অন্যান্যরা। 
এদিন অতিথিদের বরণের পর চারা গাছে জল সিঞ্চন এর মধ্য দিয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। তারপর রাজ্যের দুইজন কৃষককে সংবর্ধিত করা হয়। পাশাপাশি ১০ জন কৃষকদের মধ্যে সয়েল হেলথ কার্ড প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে স্বামীনাথন এর কাজকর্মের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 
 অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, কৃষিকে বিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন স্বামী নাথন। দেশের কৃষিতে সবুজ বিপ্লব আনার জন্য তিনি দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করলেও তার কাজের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ নরেন্দ্র মোদি কৃষি এবং বিজ্ঞানকে সংযুক্ত করার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, গবেষণাগার থেকে প্রযুক্তিকে কৃষি ক্ষেত্রে নিয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন মোদি। এই কথাগুলি ডক্টর শামী নাথন বহুবছর আগে বলে ছিলেন। 
 মন্ত্রী আরো বলেন ভারতের প্রথম সবুজ বিপ্লব এনেছিলেন স্বামীনাথন, তারপর এসেছে সাদা বিপ্লব, যার মধ্য দিয়ে দুধে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হয়েছে। এরপরে এসেছে নীল বিপ্লব, যার মাধ্যমে মাছের দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। ভুজ্য তেলে এখনো দেশ পর নির্ভরশীল। তাই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি হলুদ বিপ্লবের ডাক দিয়ে তেলে দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে চাহিদার ৭০শতাংশ ভুজ্য তেল দেশেই উৎপাদিত হবে বলে জানান। 
স্বামীনাথনের স্মৃতি ও আদর্শ কৃষক সমাজকে আত্মনির্ভরশীল ও সমৃদ্ধ করার পথে আলো দেখাবে। এই উদ্যোগ আগামী প্রজন্মকে কৃষিক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নে আরও অনুপ্রাণিত করবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। 
সবশেষে গবেষণা কেন্দ্রের সকল কর্মীদের নিয়ে ফটো সেশনে মিলিতন উপস্থিত অতিথিরা। পাশাপাশি এদিন সাংবাদিকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় এস এ আর এস'র তরফে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক কৃষির একটি মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠান মঞ্চে সংস্থার বার্ষিক স্মরণিকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ