Advertisement

Responsive Advertisement

জনজাতি উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে জোর দিচ্ছে সরকার: কৃষি মন্ত্রী


আগরতলা, ১ জুলাই: রাজ্যের ৩৯২টি গ্রামে জনজাতি উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ধরতি আবা জনজাতি গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান’ (ডিএজিজিইউএ)-এর অধীনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ১৪১.৮২ কোটি টাকার অনুদান মঞ্জুর হয়েছে বলে জানালেন বিদ্যুৎ, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

জনজাতি গৌরব বর্ষ উপলক্ষে আজ হেজামারা ও লেফুঙ্গা আরডি ব্লকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই তথ্য জানান। 

তিনি বলেন এই প্রকল্পের আওতায় ২০টি নতুন ছাত্রাবাস, ২টি মাল্টি-পারপাস মার্কেটিং সেন্টার, ১৬টি আশ্রম স্কুল ও সরকার পরিচালিত আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস সংস্কার এবং ৯টি বর্মাধিকার (এফআরএ) সেল গঠনের জন্য ৮১.৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ১১৯টি আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মাণে ১৪.২৮ কোটি টাকা, ২৮ হেক্টর জলাশয়ে মাছচাষে ১.১২ কোটি টাকা, সমগ্র শিক্ষা অভিযানের আওতায় ছাত্রাবাস নির্মাণ, উদ্যান উন্নয়ন মিশনের জন্য ২.৩৬ কোটি টাকা এবং ৭৬৭৭টি পরিবার ও ৫১২টি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগে ৪২.৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

মন্ত্রী নাথ বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একযোগে সকল অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। 

তিনি বলেন, "জনজাতি উন্নয়নের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। লেফুঙ্গা, মান্দাই , ডুকলি
, হেজামারা ও জিরানিয়া ব্লকে এই কুইজের আয়োজন করা হয়েছে। আমি পশ্চিম জেলার দায়িত্বে ছিলাম এবং আজ লেফুঙ্গা ও হেজামারার দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। আমি নিজেও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেছি। তারা দেশের ভবিষ্যৎ, তাই তাদের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতার বীজ বপন করাই আমাদের লক্ষ্য।”

মন্ত্রী জানান, শিক্ষা ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে। আগে যেখানে স্কুলের অভাব ছিল, এখন সেখানে ইংরেজি মাধ্যম, প্রি-প্রাইমারি, এলকেজি, ইউকেজি—সব ধরনের বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে বদ্ধপরিকর।

এই উদ্যোগ রাজ্যের জনজাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নে এক নতুন দিশা দেখাবে বলেই আশাবাদী মন্ত্রী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ