Advertisement

Responsive Advertisement

ঊনকোটি জেলায় ১০০দিনের জরায়ু মুখের ক্যান্সার স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন



আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর : ভারতে জরায়ু মুখের ক্যান্সার মহিলাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। শুরুতেই ধরা পড়লে এই রোগ পুরোপুরি সেরে যায়। কিন্তু অনেক জায়গায় ভালো ল্যাব বা প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা নেই। সেখানে অ্যাসেটিক অ্যাসিড দিয়ে চোখে দেখে পরীক্ষা (ভি  আই এ) খুব সহজ ও কার্যকর একটি পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রশিক্ষিত নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরা এই পরীক্ষা করতে পারেন এবং ফলাফল সঙ্গে সঙ্গেই জানা যায়। 
ঊনকোটি জেলার জলাই আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরে ১০০ দিনের স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন এই পরীক্ষার গুরুত্ব আরও পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে। এই ক্যাম্প সফল হয়েছে গ্রামের মানুষের সচেতনতা ও সহযোগিতার কারণে। ক্যাম্পে চারজন মহিলার এই পরীক্ষা করানো হয় ।
কমিউনিটি হেলথ অফিসার শ্রীমতি রূপা দাস বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং ক্যাম্পে উপস্থিত থেকে মহিলাদের বুঝিয়ে বলেন—জরায়ু মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি কী, লক্ষণ কী, এবং ভি  আই এ পরীক্ষার দরকার কেন। তিনি খুব ধৈর্যের সঙ্গে মহিলাদের ভয় ও দুশ্চিন্তা দূর করেন। চারজন মহিলাকে সহজভাবে বোঝানো হয় ভি  আই এ টেস্ট কীভাবে হয়, কীভাবে সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল জানা যায় এবং কোনো সমস্যা ধরা পড়লে কী চিকিৎসা করতে হবে তাও নির্ধারণ করা যায়। 
নির্দিষ্ট দিনে, রূপা দাস  চারজন মহিলার ভি  আই এ পরীক্ষা করেন। প্রথমে জীবাণুমুক্ত স্পেকুলাম দিয়ে জরায়ুর মুখ দেখা হয়। তারপর উজ্জ্বল আলোতে পরীক্ষা করা হয়। এরপর তুলোয় ৫% অ্যাসেটিক অ্যাসিড লাগিয়ে জরায়ুর মুখে প্রয়োগ করা হয়। অ্যাসেটিক অ্যাসিড জরায়ুমুখের কোষের প্রোটিনগুলিকে জমাট বাঁধিয়ে দেয়। যদি কোষে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন থাকে, তবে সেগুলো এক মিনিটের মধ্যে সাদা দাগের মতো দেখা যায়। এটাই ভি  আই এ পজিটিভের লক্ষণ। আর সাদা দাগ না থাকলে ফলাফল নেগেটিভ।   চারজন মহিলার কারোর ক্ষেত্রেই কোনো সাদা দাগ দেখা যায়নি। তাই তাঁদের ফলাফল ছিলনেগেটিভ। এই খবর শুধু চারজন মহিলার জন্যই নয়, গ্রামের অন্য মহিলাদের মধ্যেও স্বস্তি ও সাহস জাগিয়েছে।ভি  আই এ পরীক্ষা গ্রামের মহিলাদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।এই ক্যাম্প প্রমাণ করেছে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী ও সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ু মুখের ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে সফলভাবে স্ক্রিনিং করা সম্ভব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ