Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যের বন রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা


আগরতলা, ২২মে : প্রতি বছর ২২মে দিনটিকে আন্তর্জাতিক জৈব বৈচিত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃহস্পতিবার আগরতলাতেও উদযাপন করা হয় দিনটি। ১৯৯২সাল থেকে দিনটি উদযাপন শুরু হয়। এবছরের এই দিবসের থিম "প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়ন"। এদিন এই উপলক্ষ্যে রাজধানী আগরতলার গুর্খাবস্তি এলাকার প্রজ্ঞা ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বন দপ্তর, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, আগরতলা পৌর নিগমের ডেপুটি মেয়র মিনিকা দাস দত্ত, লোকাউক্ত ড: বি কে কিলিকদার, মুখ্যবনাধিকারিক আর কে শ্যামলসহ বন দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা। 
এদিন শুরুতে গুর্খাবস্তি এলাকার রাস্তার দুই পাশে উপস্থিত অতিথিরা গাছের চারা রূপন করেন। তারপর আলোচনাসভা প্রাঙ্গনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। তারপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের পাশাপাশি কৃষি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশ নিয়ে ছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন, এই পৃথিবীর জীববৈচিত্র এবং প্রকৃতি রক্ষা করার জন্য সমাজের সকল অংশের মানুষদের অংশ নিতে হবে। উন্নয়নের নামে ত্রিপুরা রাজ্যের যাতে আর বন ধ্বংস না করা হয় তার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখবেন। তবে যাতে উন্নয়ন থেমে না থাকে তার জন্য জাতীয় সড়কের দুই লেনের উপর প্রয়োজনে ফ্লাইওভার করে রাস্তা নির্মাণের এবং যে জায়গায় উঁচু পাহাড় রয়েছে যে সকল জায়গায় ট্রেন লাইনের মত মাটিরতলা দিয়ে সড়ক নির্মাণের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন বলেও জানান। রাজ্যের অন্যতম হাতির বিচরণ ক্ষেত্র তে লিয়ামুড়া এলাকার উপর দিয়ে বয়ে চলা জাতীয় সড়কের এক দিক থেকে অন্যদিকে যাতে হাতিরা চলাচল করতে পারে তার জন্য খুব দ্রুত হাতে করিডোর তৈরি করা হবে। তিনি আরো জানান আগামী শীতকাল নাগাদ এই কাজ করা হবে। 
আরো বলেন ডাক্তাররা যেন সাধারণ মানুষদেরকে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন, কারণ ডাক্তাররা পরিবেশে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে মানুষের শরীরে কি কি রোগ হতে পারে তা বিস্তারিতভাবে বলতে পারবেন। এই জন্য বনদপ্তরের আধিকারিকদেরকে ডাক্তারদের সঙ্গে দ্রুত বৈঠকে বসার আহ্বান জানান। স্কুল ছাত্র ছাত্রীদেরকে সপ্তাহে অন্তত একদিন পরিবেশ বিষয়ক পাট পোড়ানোর পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন বলেও জানান। 
ত্রিপুরা সরকারের বন দপ্তর ও ত্রিপুরা জীব বৈচিত্র পর্ষদের যৌথ এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ