Advertisement

Responsive Advertisement

মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষায় রক্তদানে সকল অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর


আগরতলা, ২ মে: রক্তের কোন বিকল্প হয় না। শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন হার্ট, কিডনি ইত্যাদির বিকল্প প্রতিস্থাপন করা যায়। কিন্তু রক্তের ক্ষেত্রে এসব করা সম্ভব নয়। একমাত্র একজন মানুষই রক্তদানের মাধ্যমে অন্যজনের জীবন বাঁচাতে পারেন। তাই রক্তদানের মতো মহৎ দান অন্যকিছু হয় না। রাজ্যে রক্তদানের যে রেনেসাঁস তৈরি হয়েছে সেই ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে হবে। 
                       বুধবার রামনগর মন্ডলের উদ্যোগে আগরতলার কৃষ্ণনগরস্থিত ম্যাগনেট ক্লাব সংলগ্ন বিজেপি রামনগর নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত মেগা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
                       অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্যে বর্তমানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে। তাই এই সময়ে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের স্বল্পতা মেটাতে এই ধরনের রক্তদান শিবির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোভিভ পরিস্থিতির সময়েও রক্তদানের ক্ষেত্রে সারা দেশের মধ্যে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই রাজ্যের মানুষ। একজন রক্তদাতা চারজন মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে পারেন। এখন অত্যাধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রক্তের বিভাজন করে সেটা ভাগ করে দেওয়া যায়। ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে এখন সেধরণের ব্যবস্থা রয়েছে। ৬টির মতো ব্লাড সেপারেশন সেন্টার রয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ১৪টি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। এরমধ্যে ১২টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি। সবমিলিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রক্ত তো তৈরি করা যায় না। সেটা মানুষকেই এক অপরের জন্য দান করতে হয়। কারণ একই পরিবারের ভাইয়ে ভাইয়ে রক্তের গ্রুপের মিল থাকে না। আবার দেখা যায় অন্য পরিবারের কারোর সঙ্গে রক্তের গ্রুপ মিলে যাচ্ছে। তাই রক্তের কোন ধর্ম, বর্ণ বা লিঙ্গ হয় না। এখান থেকেই অনেক কিছু শিক্ষণীয় রয়েছে যে, আমরা সবাই এক। 
                              মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের বসবাস। তাই জনসংখ্যার দিক দিয়ে রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে এক শতাংশ রক্ত মজুত রাখতে হলে অন্তত ৪০ হাজার ইউনিট রক্ত থাকা প্রয়োজন। আর এটা সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় রক্তদানের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে স্বেচ্ছা রক্তদানে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ রক্তের কোন বিকল্প নেই। মানুষের শরীরেই রক্ত তৈরি হয়। রক্তদানের মধ্যেই মানুষের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ও অনুভূতি তৈরি হয়। এর কোন ধর্ম বর্ণ হয় না। জীবনের শ্রেষ্ঠ দান ও মহৎ দান হচ্ছে রক্তদান। 
                       মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি বিশ্বাস করে সেবাই আমাদের ধর্ম। আর সেবার জন্যই আমাদের সংগঠন। ভারতীয় জনতা পার্টি রাজনৈতিক সংগঠন হলেও সবসময় সামাজিক কাজ করে থাকে। বছরের ৩৬৫ দিনই মানুষের জন্য কাজ করি আমরা। তাই এই স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরে যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসেন এবং যারা রক্ত সংগ্রহ করতে আসেন তাদের ধন্যবাদ জানান ডাঃ সাহা। 
                     অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি পাপিয়া দত্ত, প্রাক্তন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি মনোজ কান্তি দেব রায়, সদর শহর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য। শিবিরে প্রচুর সংখ্যায় স্বেচ্ছা রক্তদানে সামিল হন ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ