Advertisement

Responsive Advertisement

কমিউনিস্ট জমানায় দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জনকে খুনের ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা মুখ্যমন্ত্রীর


আগরতলা, ১০ এপ্রিল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে ত্রিপুরা সহ সমগ্র দেশে। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে মানুষ চাইছেন ২৪শে আবার মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন সেটা করে দেখান। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। এই সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের সার্বিক বিকাশ। কমিউনিস্ট জমানায় শুধু দক্ষিণ জেলায় বিরোধীদের ৬৯ জনকে খুন করা হয়েছিল। আর সেই কমিউনিস্টদের সঙ্গে অশুভ জোট করেছে কংগ্রেস। 
                      আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে বুধবার দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়ার রাজনগরে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                           সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। কিছুদিন আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কার্যকারিণী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের বলেছেন যার যার রাজ্যে গিয়ে নিজেদের বুথে যেতে। আর সেখানে কার্যকর্তাদের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে হবে যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য আমাদের পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমাদের কার্যকর্তাগণ সেই কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন সেটা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ক্রমশ বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ শক্তিশালী হচ্ছে, মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। মহিলাদের উন্নয়ন, গরীবদের উন্নয়ন, যুবাদের উন্নয়ন ও কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কাজকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি। আসন্ন এই নির্বাচন আগামীতে দেশ কোনদিকে যাবে সেটা নির্ধারণ করার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ও পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে কৃতি সিং দেববর্মাকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। আমাদের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময়ে প্রচুর সংখ্যায় মানুষের সমাগম হয়। যা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের সমর্থনকে স্পস্ট করেছে। 
                             জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আগামী ৪ তারিখ ফল গণনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না বলে মনে হয়। কারণ মানুষের যে সমর্থন প্রত্যক্ষ হচ্ছে তাতে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে ফলাফল বেরিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২০১৮ সালে ত্রিপুরা থেকে কুশাসনের জগদ্দল পাথরটিকে সরিয়ে বিজেপি আইপিএফটি সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ এ রাজ্যের দুটি লোকসভা আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। যা আগে কোনদিন করতে পারে নি ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস সিপিএমের অশুভ জোট তারা ক্ষমতায় আসছে বলে প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপর মানুষের আস্থার প্রতিফলন হিসেবে আবারও রাজ্যে ক্ষমতায় আসে বিজেপি আইপিএফটি সরকার। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের উপর মানুষের আস্থা বেড়েছে। এই সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে সকলের উন্নয়ন। 
                          মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসতে হবে। সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন আমাদের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী। আমি নিশ্চিত আপনারা সকলেই আমাদের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি একটা ইউনিক পার্টি। সেবাই সংগঠন এই পার্টির অন্যতম লক্ষ্য। সারা বছরের ৩৬৫ দিনই মানুষের কল্যাণে কাজ করে এই পার্টি। এর পাশাপাশি কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডাঃ সাহা বলেন, কমিউনিস্টদের জমানায় শুধু এই দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সেখানে আপনারা কি চাইবেন আবার খুনের রাজত্বে ফিরে যেতে? সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কংগ্রেস তখন বিরোধী দলে ছিল। আর তাদের কর্মীদের বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, মারধোর করা হয়েছে, মা বোনদের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আর এখন তারাই সেই কমিউনিস্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অশুভ জোট গড়েছে। অথচ ২০২৩ এ কিভাবে সন্ত্রাস ছাড়া নির্বাচন করতে হয় সেটা করে দেখিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার। 
                            সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার, ভারতীয় জনতা পার্টির দক্ষিণ জেলার সভাপতি শংকর রায়, মন্ডল সভাপতি রঞ্জিত সরকার সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ