Advertisement

Responsive Advertisement

গত ৩৫ বছরে গণতন্ত্রকে খুনের জন্য সিপিএম - কংগ্রেসকে নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ১১ এপ্রিল: বিগত ৩৫ বছরে রাজ্যে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। কমিউনিস্টদের শাসনে মানুষ সবদিক দিয়ে বঞ্চিত হয়েছে। এর পাশাপাশি কংগ্রেস জোটের ৫ বছরের শাসনে বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে গেছে রাজ্যবাসী। রাজ্যে অপশাসনের জন্য সিপিএম এবং কংগ্রেসের ভূমিকা একেবারে নিন্দনীয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য তাদের কাছে কোন উল্লেখযোগ্য ইস্যু নেই।
                            লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে বৃহস্পতিবার এডিনগর স্কুল মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বড়দোয়ালি মন্ডলের ৩৯ নং ওয়ার্ডে এই নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। 
                            মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, এই লোকসভা নির্বাচনে প্রথম বারের মতো বিগত নির্বাচনগুলির মতো তেমন কোন বিরুদ্ধ মনোভাব নেই। কারণ এই লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনও উল্লেখযোগ্য ইস্যু নেই। তারা শুধু রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং তারা দাবি করে যে সংবিধান বাঁচাতে লড়াই করছে। কিন্তু তারা নিজেদের শাসনামলে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব না থাকার কথা স্বীকার করে না। বিগত ৩৫ বছর ধরে তাদের শাসনে এই রাজ্যের মানুষ কি প্রত্যক্ষ করেছে? শুধু সহিংসতা আর অস্থির পরিস্থিতি। গতকালই আমি দক্ষিণ জেলা সফরে যাই, যেখানে কমিউনিস্টদের জমানায় প্রায় ৬৯ জন বিরোধী সমর্থককে খুন করা হয়েছিল। তখন গণতন্ত্র কোথায় ছিল? এমনকি তারা চানমোহন ত্রিপুরা এবং তাদের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকেও খুন করিয়েছে। সেসব ক্ষেত্রে গণতন্ত্র কোথায় ছিল? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। 
                           নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য জুড়ে একটা সময় ভয়ের পরিবেশ কায়েম করে করে রাজনীতি করেছিল সিপিএম। কারণ তারা বিশ্বাস করতো শুধুমাত্র সিপিএম-এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিরাই ভালো মানুষ। অন্য কেউ নয়। আর এটা তাদের গণতন্ত্রের অবমূল্যায়ন। তারা গণতন্ত্রকে মূল্যায়ন করে নি এবং এর প্রতি কোনো সম্মান দেখায় নি। সেই জায়গায় দেশের সংবিধানকে পূর্ণ মর্যাদা জানিয়ে দেশের জন্য ও দেশবাসীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমরা রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য প্রায় ৫০০ বছর অপেক্ষা করেছিলাম এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রচেষ্টায় সেই স্বপ্ন এখন পূরণ হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা দেশের ভবিষ্যতের অভিমুখ নির্ধারণ করবে। ২০১৪ সালের আগে আমরা কখনও এমন উন্নয়নের প্রবাহ প্রত্যক্ষ করিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি দ্রুত বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। তিনি আমাদের রাজ্যের জন্য হিরা মডেল উপহার দিয়েছেন। সেই জায়গায় বিরোধীরা শুধু মিথ্যা ও অপপ্রচারের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। তারা নাট্যকারও। 
                সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর আরবানের সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, বড়দোয়ালি মন্ডলের মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় সাহা, পুর নিগমের কর্পোরেটর অলক রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিগণ। সভায় ৯ পরিবারের ২৯ জন ভোটার বিভিন্ন দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাদেরকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ