Advertisement

Responsive Advertisement

কংগ্রেস নেতারা বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এর জন্য তাদের লজ্জা হওয়া উচিত : রাজীব ভট্টাচার্য


আগরতলা, ২৩এপ্রিল : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের গ্যারান্টি কারণে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী আবার শপথ নেবেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের দুটি আসনে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্ত করবেন। পূর্ব ত্রিপুরার লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে মঙ্গলবার ফটিকরায় মন্ডলে আয়োজিত বিজয় শঙ্খনাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলো বলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।
সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন ফটিকরায় মন্ডলের মানুষ বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করে লোকসভায় পাঠাতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। 
 কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট এক হয়ে লড়াই করছে, কিন্তু তাদের আদর্শ কি, উদ্দেশ্য কি, তারা মানুষের জন্য কি করতে চায়, তার কোন উল্লেখ করেনি তারা। তারা শুধুমাত্র নিজেদের বিকাশ ও উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিজেপির পেছনে লেগেছে এবং এক সঙ্গে নির্বাচনের ময়দানে নেমেছে। টানা ২৫ বছর সিপিআইএম এই রাজ্যের রাজত্ব করেছে আর পেছন দিক থেকে কংগ্রেস তাদেরকে মদত যুগিয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রদেশ সভাপতি। নির্বাচন এলে কংগ্রেস নেতারা ময়দানে নেমে এবার এসে পড়ছে এবার এসে পড়ছে বলে স্লোগান দিত, কিন্তু সারা বছর তাদের দেখা যেত না। তারা ভালো করেই জানে যে তাদের দিল্লির নেতৃত্ব রাজ্যকে বামেদের হাতে বিক্রি করে দিয়েছে। বাম নেতৃত্ব বহু কংগ্রেস নেতাকর্মীকে খুন করেছে না হলে রাজ্য থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। অথচ এই বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে, এই জন্য কংগ্রেসের লজ্জা হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে বামেদের ঘাতক বাহিনীর হাতে খুন হওয়া কংগ্রেস নেতাকর্মীর শহীদ বেদি রয়েছে। আবার একই ভাবে কংগ্রেস ঘাতক বাহিনীর হাতে খুন হওয়া বামেদের নেতাদের শহীদ বেদী রয়েছে, তিনি বাম কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন এখন এই সকল শহীদ বেদীতে কে মাল্য দান করবে। কংগ্রেস নেতারা পরিস্থিতি বুঝে একদল থেকে অন্য দলে ঘুরে বেড়ানো তাদের কাজ বলে মন্তব্য করেন তিনি। 
এদিনের এই সভায় ওদের সভাপতির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, মন্ত্রী সুধাংশু দাস, যুব নেতা নবায়দুল বণিক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সবাই প্রচুর সংখ্যক কর্মী সমর্থক শামিল হয়েছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ