অয়ন নাগ, ধর্মনগর, ৩০ মে : ধর্মনগর থেকে সন্দেহভাজন তিন বাংলাদেশিকে আটক করল পুলিশ। ভারতের পরিযায়ী শ্রমিকরা সময় বেঁধে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করে আবার নিজ রাজ্যে ফিরে যায়। ভিন দেশ থেকেও পরিযায়ী শ্রমিকরা আসতে পারে, তবে তারা পাসপোর্ট ভিসা এবং কাজের পারমিট নিয়ে তবেই তারা অন্য দেশে কাজের জন্য যেতে পারে। বাংলাদেশী নাগরিক যাতে অবৈধ ভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে গোটা সীমান্ত এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা বিএসএফের টহলদারি রয়েছে সীমান্ত জুড়ে। কিন্তু বিএসএফের এই টহলদারিকে যেন বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একাংশ বাংলাদেশি নাগরিক এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার মত পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ত্রিপুরায় আসছে কাজ শেষ করে আবার চলে যাচ্ছে। ঠিক একই ভাবে আবার কাজের সময় অনায়াসে চলে আসছে। বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে এভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে অবাধে আসা-যাওয়া করলেও রাজ্য পুলিশের নজর এড়াতে পারেনি বিষয়টি। তাই ধর্মনগর থানার পুলিশের তৎপরতায় তিন বাংলাদেশী নাগরিককে জালে তোলা সম্ভব হল যারা সময় সময় পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে রাজ্যে এসে কাজ করে। ধর্মনগরের পূর্ব বাজার থেকে আটক করা হয়। তাদের নাম যথাক্রমে মনসুর আলী, বাড়ী বাংলাদেশের মৌলভীবাজার এলাকায়, সে ১৩ বছর ধরে ভারতে আসা-যাওয়া করছে বলে নিজেই জানায়। ধর্মনগর দুর্গাপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে এবং মাছের পোনা বিক্রির কাজে যুক্ত। দ্বিতীয় বাংলাদেশী নাগরিকের নাম মোহাম্মদ কাইম, তার বাড়ী বাংলাদেশের জুড়ি এলাকায়। সে ভাঙা লোহা টিন এইসব বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে ও বিক্রি করে। তৃতীয় বাংলাদেশীর নাম রাসেল আহমেদ। সে বাংলাদেশের গোয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এমনকি তারা ভারতের বাসিন্দা হিসেবে জাল কাগজপত্র তৈরি করে নিয়েছে। পুলিশ এখন তদন্ত করে দেখছে তারা কি পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবেই আদৌ কাজ করছে, নাকি পরিযায়ী শ্রমিক সেজে অন্য কোন ধরনের নাশকতা মূলক চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ