Advertisement

Responsive Advertisement

বিরোধীদের পায়ের তলায় জমি নেই, মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তাদের মূল লক্ষ্য: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১৯ এপ্রিল: বিরোধীদের কাছে কোন ইস্যু নেই। তাদের পায়ের তলায় এখন আর জমি নেই। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশের কল্যাণে ও মানুষের কল্যাণে বিগত ১০ বছর ধরেই তিনি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত করতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
                        লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে শুক্রবার উত্তর জেলার পানিসাগরে আয়োজিত সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ভারতীয় জনতা পার্টির পানিসাগর মন্ডলের উদ্যোগে এই নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়। 
                           সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পানিসাগরে ইতিমধ্যেই জুডিশিয়াল কোর্ট, নতুন ব্লক ভবন এবং ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের জন্য আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এসকল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। আসন্ন ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অন্যান্য নির্বাচনের মতো ভাবলে হয়তো ভুল হবে। আমাদের সকলকে এই নির্বাচনকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এসে সম্বোধন করে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন মানুষের কাছে গিয়ে বলতে যে, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে আমাদের পাঠিয়েছেন। গত ১০ বছরে দেশের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কি করেন নি তিনি। 
                        প্রদেশ বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০১৮ সালে আমরা বামেদের কুশাসন থেকে মুক্ত হয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ সহ ইত্যাদি ঘটনার অজস্র অভিযোগ ছিল। সেই অপশাসন থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কোটি কোটি প্রণাম। গণতন্ত্রের মাধ্যমে কিভাবে নির্বাচন করতে হয় সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং বক্সনগর ও ধনপুরের উপনির্বাচন কোন ধরণের অঘটন ছাড়াই একেবারে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ত্রিপুরায় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি ও তার নেতৃত্ব কখনো অশান্তিকে সমর্থন করে না। আজকে প্রথম দফার নির্বাচনেও মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। চারদিকেই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন। অথচ এই ভোট নিয়ে বিরোধী দলের কিছু নেতা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নানা অভিযোগ উত্থাপন করছেন। কারণ তাদের পায়ের তলায় জমি নেই। তাই পরিকল্পনা মাফিক বিভ্রান্তি তৈরি করতে এসব অভিযোগ তুলছেন তারা। আর এটাই তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। 
                             সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিরোধীরা এখন নানাভাবে নাটক করছে। নির্বাচনের পরে তারা বলবে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলবেন তারা। এরই কিছু গুচ্ছ ছবি আজ থেকে শুরু করেছেন তারা। মানুষ তাদের নাটক অভিনয় সম্পর্কে বুঝে গেছেন। এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো অধিষ্ঠিত করতে হবে। একজন চা ওয়ালা থেকে আজ তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমাদের কল্যাণে গ্যারান্টি দিচ্ছেন। আর সেই গ্যারান্টির বাস্তবায়নেও গ্যারান্টি দিচ্ছেন। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ক্রমশ বিকাশের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ ক্রমশ শক্তিশালী হিসেবে সারা বিশ্বে জায়গা করে নিচ্ছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী যা বলেন সেটা করেন। আগামীতে দেশ কোনদিকে যাবে সেটা নির্ধারণ করার জন্য এই নির্বাচন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে।
                            এদিন নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস, বিধায়ক যাদব লাল নাথ, উত্তর জেলা সভাধিপতি ভবতোষ দাস, টিআইডিসির চেয়ারম্যান নবাদল বনিক, উত্তর জেলার বিজেপি সভাপতি কাজল দাস সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ