Advertisement

Responsive Advertisement

আগরতলা-দেওঘর এলএইচবি র‍্যাক সংযোজিত এক্সপ্রেস ট্রেনের ফ্ল্যাগ অফ করলেন মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ৩ ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির মাধ্যমে রাজ্যকে হীরা মডেল উপহার দিয়েছেন। রাজ্যের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পরিষেবার মধ্য দিয়ে এটা অনুভব করা যাচ্ছে। রাজ্য সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যা চেয়েছে তা সহজেই পেয়েছে। আগরতলা-দেওঘর এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রী সুবিধাযুক্ত আধুনিক লিংক হফম্যান বুশ (এলএইচবি) র‍্যাক সংযোজন এরই একটি অঙ্গ। আজ সন্ধ্যায় আগরতলা রেল স্টেশনে আগরতলা-দেওঘর এলএইচবি র‍্যাক সংযোজিত এক্সপ্রেস ট্রেনের ফ্ল্যাগ অফ করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনা করে ভারতীয় রেল ১৫৬২৬/১৫৬২৫ আগরতলা-দেওঘর-আগরতলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে এলএইচবি র‍্যাক সংযোজন করেছে। তাতে একদিকে যেমন যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে তেমনি যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আরও অধিক সুরক্ষিত ও রেলযাত্রা আরামদায়ক হবে। এই এলএইচবি ডিজাইনের কোচগুলিতে পাওয়ার ভ্যান কাম গার্ড ভ্যান, পেন্ট্রি কার রয়েছে। এছাড়াও এসি থ্রি টায়ার সহ জেনারেল ক্লাসেও যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
                         অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে এই ট্রেনটি আগরতলা স্টেশন থেকে প্রতি শনিবার রাত ৭টায় দেওঘরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রেনটি ১,৪৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ মাত্র ৩৫ ঘন্টায় অতিক্রম করে। আগরতলা থেকে রওনা হয়ে ট্রেনটি তেলিয়ামুড়া, আমবাসা, ধর্মনগর, বদরপুর জংশন, নিউ হাফলং, লামডিং জংশন, চাপারমুখ, গুয়াহাটি, কামাখ্যা, রঙ্গিয়া, নিউ বঙ্গাইগাঁও, নিউ কোচবিহার, নিউ জলপাইগুড়ি জংশন, কাটিহার, নৌগাছিয়া, মুঙ্গের, ভাগলপুর জংশন ও বাঙ্কা হয়ে দেওঘর জংশনে পৌঁছাবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় রেল যাত্রীদের সুবিধা, নিরাপত্তা এবং ভ্রমণ পরিষেবা আরামদায়ক করতে নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে নতুন আধুনিক সুবিধাযুক্ত এলএইচবি র‍্যাকের সংযোজন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এখন রাজ্যে ১৩টি এক্সপ্রেস, ৫টি লোকাল ট্রেন চলাচল করছে। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মুডে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেনের ট্রায়াল রানের সূচনা করেন। ঐদিন আনুষ্ঠানিকভাবে গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের নিশ্চিন্তপুর স্টেশন পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে মালবাহী ট্রেনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়। এবছরের ১১ জানুয়ারি রাজ্যের অভ্যন্তরে নিশ্চিন্তপুর স্টেশন থেকে আগরতলা স্টেশন পর্যন্ত এই পণ্যবাহী ট্রেনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে।
                     অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় রাজ্যে এখন সড়ক, রেল, ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে মৈত্রী সেতু চালু হলে ত্রিপুরা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বারে পরিণত হবে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে রাজ্যের ধর্মনগর, কুমারঘাট, উদয়পুর এই ৩টি স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য ৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়াও ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আগরতলা রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন লামডিংয়ের ডিভিশন রেলওয়ে ম্যানেজার প্রেম রঞ্জন কুমার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ