কৈলাসহর, ৪ ডিসেম্বর: তিন দিনের ত্রিপুরা সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার কৈলাসহর সফর করলেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। এদিন হেলিকোপটারে করে কৈলাসহর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। বিমানবন্দরে ফুলের তোড়া দিয়ে দুই মন্ত্রীকে স্বাগত জানান ঊনকোটি জেলার জেলা শাসক রাজীব দত্ত এবং মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার। বিমানবন্দর থেকে তারা সোজা চলেযান কৈলাসহর গৌরনগরস্থিত সার্কিট হাউজে।সেখানে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন স্কিম কিভাবে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয় সম্পর্ক আলোচনা করেন। সার্কিট হাউজ থেকে মন্ত্রী টিংকু রায় সহ কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি যান শৈব তীর্থ ঊনকোটি দর্শনে। ঊনকোটি পরিদর্শন করে উনার খুব ভালো লেগেছে বলে জানান। তবে ঊনকোটি পরিদর্শনের সময় ঊনকোটির ইতিহাস সম্পর্কে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাজকর্ম দেখে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ঊনকোটির দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে বিভিন্ন খামখেয়ালিপনা নিয়ে প্রশ্ন করেন। বিশেষ করে বিগত দুবছর কি কাজ হয়েছে সে বিষয় সম্পর্কে উনি জানতে চান। সন্ধ্য হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা সেখানে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেন বিদ্যুৎ নেই সে বিষয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার স্থানীয় আধিকারিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেননি। মন্ত্রী বিদ্যুৎ বিলের কপি চেয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকের কাছে। ঊনকোটি পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মনু ল্যান্ড কাস্টমস সহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে কৈলাসহর ত্যাগ করেন। অন্ধকার হয়ে যাওয়ার ফলে পুরোটা ঊনকোটি পাহাড় পরিদর্শন করতে পারেননি মন্ত্রী। তিনি জানান আগামীকাল আবার ঊনকোটি পরিদর্শন করবেন।
0 মন্তব্যসমূহ