Advertisement

Responsive Advertisement

সারা দেশের সঙ্গে ত্রিপুরাতেও প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো "বীর বালক দিবস"

আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর: সারা দেশের সঙ্গে মঙ্গলবার ত্রিপুরাতেও "বীর বালক দিবস" উদযাপন করা হয়। রাজ্য ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানটি হয় রাজধানী আগরতলার পার্শবর্তী চাঁমারী এলাকায়, উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি'র সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্য, প্রাক্তন বিধায়ক এবং বিজেপি নেতা ডা দিলীপ কুমার দাস, প্রাক্তন বিধায়ীকা মিমি মজুমদার, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্যরা।
এদিন চানমারি স্কুল থেকে ছাত্রদেরকে নিয়ে পার্শবর্তী ও রাজ্যের একমাত্র গুরুদোয়ারা পর্যন্ত রেলি করে যাওয়া হয় এবং বীর শহীদ কিশোরদের উপর নির্মিত তথ্য চিত্র দেখানো হয়। সেই সঙ্গে সকলে মিলে প্রার্থনা করেন। এই দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে যখন মোগল শাসক ধর্মান্তরিতকরণের জন্য অত্যাচার চালিয়েছিলেন তখন নিজেদের ধর্ম রক্ষা করার জন্য একজন সতেরো বছর এবং একজন ১৩ বছরের কিশোর জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন। শুধুমাত্র ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হওয়া ছাদের উপর এই অত্যাচার ও খুন করা হয়। তাদের বীর গাঁথা দেশবাসীর তুলে ধরার জন্য এবছর থেকে ২৬ ডিসেম্বর দিনটিকে বীরবলক দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর প্রেক্ষিতে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে। 
সেই সঙ্গে রাজ্যে প্রতিটি মন্ডলে এই উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। 
বিজেপি নেতা ডা দিলীপ কুমার দাস এই বীর বালক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন দীর্ঘ মোঘল এবং ব্রিটিশ শাসনের পর দেশের ইতিহাস অনেকটাই পরিবর্তন করে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। মোঘল এবং ব্রিটিশদের কথা ইতিহাস বইতে উল্লেখ করা হলেও ভারতীয় অনেক বীরের বিষয়ে লেখা হয়নি। দশম গুরু গুরুগোবিন্দ সিং এর চার ছেলে
১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব দিলে মোহাম্মদ নামের জোরপূর্বক মুসলিম ধর্মান্তকরণ অভিযান চালিয়ে ছিলেন। এই নিয়ে দশম গুরু গোবিন্দ সিংহের সঙ্গে ঔরঙ্গজেবের একাধিকবার যুদ্ধ হয়েছে। একবার টানা চার মাস ধরে দূর্গে আটকে রেখে ছিল। তারপর একসময় গুরু গোবিন্দ সিংকের পরিবারসহ অন্যত্র সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া নাম করে ঔরঙ্গজেব এবং তার সহযোগীরা আক্রমণ চালায় তখন গুরু গোবিন্দ সিং তার বড় দুই ছেলেদেরকে নিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে যেতে পারেননি। তখন ঔরঙ্গজেবের সেনারা তাদেরকে ধরে বরবটি দেখায় এবং ধর্মান্তরিতকরণের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা কোন ভয়ের সামনে মাথা নত না করে ধর্ম রক্ষার জন্য নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয়। মাত্র সাত এবং নয় বছরের দুই ছেলে নিজের ধর্ম রক্ষার জন্য আত্মত্যাগ করেছে, এই বিষয়টি আমাদের ইতিহাস বইতে কখনো আসেনি। ২০২২সালের ৯জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ২৬ ডিসেম্বর যে দিন ধর্ম রক্ষার জন্য যে দুই বীর কিশোরকে শহীদ হতে হয়েছিল এই দিনটিকে বীর বালক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
এদিকে ফটিকরায় নজরুল কলাকেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি ফটিকরায় মন্ডলের উদ্যোগে গুরু গোবিন্দ সিং এর দুই বীর পুত্র শহীদ জোরাবর সিং  ও শহীদ ফতেহ সিং এর আত্মবলিদান দিবস উপলক্ষে "বীর বালক দিবস" দিবস উদযাপন করা হয়। উনাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। উপস্থিত সকলের সামনে বীর-কিশোরদের সর্বোচ্চ আত্ম বলিদান ও জীবন কাহিনী সম্পর্কে আলোচনা করেন মন্ত্রী।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ