Advertisement

Responsive Advertisement

৮,৫০০ জন ভোটার ইতিমধ্যে ভোট দিয়ে দিয়েছেন

আগরতলা, ১২ফেব্রুয়ারী: ভোট কর্মীরা দিব্যাঙ্গজন ও ৮০ বছরের বেশী বয়সের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করেছেন ভোট কর্মীরা। 
এমন প্রায় ৮ হাজার ৫০০ জন ভোটার সারা রাজ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।রবিবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে এই সংবাদ জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, ভোট কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী, নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালক, সহকারি ও অন্যান্য কর্মীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণের রবিবার ছিল শেষ দিন ছিল। তিনি জানান, ৫৬ হাজারের বেশী ভোটকর্মী, নিরাপত্তা কর্মী, গাড়ির চালক, সহকারি পোস্টাল ব্যলটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন এবং তারা ভোট দিচ্ছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরো জানান, পশ্চিমবঙ্গের বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনির্ভার্সিটির অন্তর্গত বিভিন্ন কলেজে ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীরা বিএড পরীক্ষা দেয়। বিএড প্রেকটিক্যাল পরীক্ষা ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। এজন্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের পশ্চিমবঙ্গে যেতে হয়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবিষয়ে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনট্রোলার অফ একজামিনেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাসূচি পরিবর্তনের অনুরোধ জানান। শীগিত্যে জানান, এই পরীক্ষা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নেওয়া হবে। কনট্রোলার অফ একজামিনেশন এই দায়িত্ব নিয়েছেন। সিইও জানান, এবিষয়ে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ যেন উৎকণ্ঠিত না হন। এ বিষয়ে কোনও সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্য সিইও অফিসে একটি কল সেন্টারও চালু করা হবে।
সিইও জানান, ১৬ তারিখ বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে তিন ধরণের প্রটোকল মানতে হয়। তিনি জানান, ৭২ ঘন্টার প্রটোকল আগামীকাল থেকে চালু হবে। প্রটোকল অনুযায়ী কাল থেকে হোটেল, গেস্টহাউস, ধর্মশালা, বিয়েবাড়ি প্রভৃতি যেসব জায়গায় মানুষ থাকতে পারেন সেখানে চেকিং চালু হবে। কারণ নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে ভোটার নয় এমন কোনও ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কেন্দ্রে থাকতে পারবেন না। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত, আসাম, মিজোরাম সীমান্ত আগামীকাল থেকে সীল করে দেওয়া হবে। আগামীকালকের পর থেকে বাইক র্যালীর অনুমতি দেওয়া হবে না। আগামীকাল প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসেব ব্যয় পর্যবেক্ষকের কাছে দাখিল করতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে সিইও জানান, নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে ১৪ তারিখ বিকেল ৪ টার পর কোনও ধরণের নির্বাচনী প্রচার করা যাবে না। ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন ব্যক্তিকে বিকেল ৪ টার পর সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে চলে যেতে হবে। ঐদিন থেকে পাঁচজনের বেশী ব্যক্তি একসঙ্গে চলাচল করতে পারবেন না। নির্বাচনের দিন প্রার্থী তিনটি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কোন গাড়িই ভোটারদের জন্য ব্যবহার করা যাবেনা। তিনি জানান, রাজ্যের সব ভোটারকেই ভোটার স্লিপ দেওয়া হয়েছে। এর পরও ভোটারদের সহায়তা করতে ভোটকেন্দ্রের কাছে ভোটার এসিস্টেন্ট বুথ থাকবে। বুথে বিএলও থাকবেন। তিনি ভোটারদের সাহায্য করবেন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্যই ভোটার হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ এর ধারা ১৩৫ ক (গ) অনুযায়ি কোন ভোটারকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জবরদস্তি করা, ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া নির্বাচনী অপরাধ। কোনও ব্যক্তি এমন অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ