Advertisement

Responsive Advertisement

বাম কংগ্রেস অস্তিত্বের লড়াই করছে বিজেপি ত্রিপুরার উন্নয়নের জন্য কাজ করছে: নাড্ডা


আগরতলা, ৩ ফেব্রুয়ারী: কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট মিলে এক হয়েছে, কারণ তারা অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছে। অপরদিকে বিজেপি লড়াই করছে মানুষের উন্নয়নের জন্য। এই অভিমত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। নির্বাচনী সমাবেশে এসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তাই বিজেপির পাশে থাকার আহ্বান তার। 
বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে ত্রিপুরা এসে এক দিনে দুটি সভা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। শুক্রবার তিনি বিশেষ বিমানে আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মুখ্যমন্ত্রী তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে জে পি নাড্ডা, মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গোমতী জেলার অমরপুরে চলে যান। সেখানে এক নির্বাচনী সংকল্প সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে জে পি নাড্ডা বলেন, এদিন সভায় মানুষের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে এ রাজ্যে বিজেপি সরকার আবার পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। পাঁচ বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন সারা দেশ যদি উন্নয়নের শিখরে পৌঁছতে পারে তবে ত্রিপুরা রাজ্য কেন পিছে থাকবে। ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়ন করাই হচ্ছে সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য। তাই তিনি এই রাজ্যের জন্য বিশেষ চিন্তা করেন উন্নয়নের জন্য এবং তা পূরণ করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা উন্নয়নের এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। ডবল ইঞ্জিনের সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের ভাগ্য এবং চেহারার সুন্দর পরিবর্তন এনে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন এদিনের এই সমাবেশে সমাজের বিভিন্ন স্তরের এবং বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে দেয় বিজেপি সরকার রাজ্যের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কাজ করছে, তাই এই রাজ্য সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনেও উন্নয়নের গতি এভাবে সামনের দিকে এগিয়ে চলবে।
কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রসঙ্গে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ভারতের স্বাধীনতার অমৃত কালের এটি হচ্ছে প্রথম বাজেট। এই বাজেটে উল্লেখ রয়েছে দেশবাসীর এগিয়ে যাওয়ার নতুন দিশা। এই বাজেটে সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কথা, মহিলাদের স্বশত্তিকরণের কথা উল্লেখ রয়েছে। দেশকে সাফল্যের সিঁড়িতে তুলে ধরার জন্য এ বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, তাই এই বাজেটে ত্রিপুরাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার কথাও উল্লেখ রয়েছে। বাজেটে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য ৭৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাই দেশের একজন গরিব মানুষও আর আগামী দিনে কাঁচা ঘরে থাকবে না। অপেক্ষাকৃত ভাবে পিছিয়ে পড়া জনজাতি অংশের মানুষের কল্যাণে বাজেটে ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একইভাবে শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ।
 সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, মাত্র নয় বছর আগে দেশের অবস্থা কি ছিল। তখন দেশ সুস্থ একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার মধ্যে ছিল ভারত। কিন্তু এখন এইসবের পরিবর্তন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে উন্নয়নের চরম শিখরে এসেছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলির তালিকায় পৌঁছে গিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রো একটিভ প্রো রেস্পন্সিবল কাজ ভারতবর্ষ করছে। করোনা মহামারীর ফলে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলি যখন হিমশিম খাচ্ছিল তখন ভারত অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। আমেরিকান মত শক্তিশালী দেশ যেখানে ৮০শতাংশ মানুষের কোভিড ভ্যাকসিন করাতে পারেনি মাত্র নয় মাসে ভারতের গবেষকরা দুটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন এবং দেশে ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের নির্বাচনী পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, বাম ও কংগ্রেস নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করচ্ছে। আর বিজেপি মানুষের মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ভাই বিজেপি প্রার্থীদের কে বিপুল ভোটের জয়ী করে আবার সরকারকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান রাখেন।
পরবর্তী পর্যায়ে তিনি ঊনকোটি জেলার জেলার কুমারঘাট এলাকায় একটি সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ