আগরতলা, ১৮ নভেম্বর: রাজ্যের জেলা, মহকুমা তথা ব্লক স্তরের প্রাকৃতিক কৃষির জাতীয় মিশনের নোডাল অফিসার, এগ্রি সেক্টর অফিসার, টি-সামেটি এবং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সাবজেক্ট মেটার স্পেশালিস্ট নিয়ে রাজ্য প্রাকৃতিক কৃষি প্রতিষ্ঠান তথা রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, অরুন্ধতী নগরে শুরু হল দু-দিন ব্যাপী প্রাকৃতিক কৃষি এবং পিজিএস-সার্টিফিকেশনের উপর এক বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। আঞ্চলিক জৈব ও প্রাকৃতিক কৃষি কেন্দ্র, ইম্ফল এবং রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র-র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের সেক্রেটারী এগ্রিকালচার শ্রী অপূর্ব রায় মহোদয়। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক জৈব ও প্রাকৃতিক কৃষি কেন্দ্র, ইম্ফল-র রিজিওন্যাল ডাইরেক্টর শ্রী জি. ওয়াই দেওঘরে, রাজ্য প্রাকৃতিক কৃষি প্রতিষ্ঠান তথা রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র-র কৃষি যুগ্ম অধিকর্তা (গবেষণা) ডঃ উত্তম সাহা, কৃষি উপ-অধিকর্তা (প্রাকৃতিক কৃষি) শ্রী অমিতাভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রাকৃতিক কৃষি বিশেষজ্ঞরা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরা সরকারের সেক্রেটারী এগ্রিকালচার শ্রী রায় বলেন, রাজ্যে প্রাকৃতিক কৃষির প্রচার এবং প্রসারে ত্রিপুরা রাজ্য প্রাকৃতিক কৃষি প্রতিষ্ঠান নিরবছিন্ন কাজ করে চলেছে। এই প্রতিষ্ঠান প্রাকৃতিক চাষে নিযুক্ত অন্নদাতা এবং কৃষি সথীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কৃষকের মাঠে এই চাষের সঠিক অনুশীলনও করে দেখিয়েছে বিগত দুটি মরসুম ধরে। এবার দরকার প্রাকৃতিক কৃষির সবকটি গুণগত মান বজায় রেখে কৃষিজ পণ্যোৎপাদন, বাজারজাত করণ যার জন্যই এই পিজিএস-সার্টিফিকেশনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। প্রাকৃতিক কৃষিকে কেন্দ্র করে একটি নিশ্ মার্কেট অর্থাৎ প্রাকৃতিক কৃষিজাত পণ্যসামগ্রীর জন্য বিশেষায়িত বাজার যেন কৃষক উৎপাদনকারী এবং ভোক্তা গোষ্ঠীর মধ্যে একটি বিশ্বাস এবং সততার উপর ভিত্তি করে একটি দীর্ঘমেয়াদী সুসম্পর্ক গড়ে উঠে সে বিষয়ের উপরও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। আঞ্চলিক জৈব ও প্রাকৃতিক কৃষি কেন্দ্র, ইম্ফল-র রিজিওন্যাল ডাইরেক্টর শ্রী ভি. ওয়াই দেওঘরে বলেন, যে সমস্ত কৃষক এন.এম.এন.এফ পোর্টালে রেজিস্ট্রিকৃত হয়েছেন তাদের সকলকেই এনএফ, সার্টিফিকেশনের আওয়ায় আনা হবে। আর এর জন্যই রাজ্য স্তরে যারা নোডাল স্তরে আধিকারিক রয়েছেন তাদের এই সার্টিফিকেশন কোর্স বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। সভায় বিশেষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরা রাজ্য প্রাকৃতিক কৃষি প্রতিষ্ঠান তথা রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র-র কৃষি যুগ্ম অধিকর্তা (গবেষণা) ডঃ উত্তম সাহা বলেন, একমাত্র সততা, আধ্যাত্মিক চেতনা এবং ভূমি-গো-প্রকৃতি মাতার উপর শ্রদ্ধাশীল মানসিকতাই প্রাকৃতিক কৃষির সফল বাস্তবায়ণের মূল বিষয়বস্তু। এই গুণাবলীই সমগ্র দেশ ও সমাজচেতনাকে প্রাকৃতিক কৃষির নিরাপদ আশ্রয়ে বাঁচাবে সমস্ত রাসায়নিকের করাল গ্রাস থেকে সমগ্র উদ্ভিদ ও প্রানীকূলকে বাঁচাতে এবং আখেরে বিষমুক্ত পরিবেশ গড়তে।
0 মন্তব্যসমূহ