Advertisement

Responsive Advertisement

জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী



আগরতলা, ৭ নভেম্বর: জাতি জনজাতি মিলে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা ও এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তুলতে হবে। এই দিশায় কাজ করছে রাজ্যের বর্তমান সরকার। জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে আমাদের সরকার। 

                             আজ গোমতী জেলার কিল্লার পিএম শ্রী দশরথ দেব মেমোরিয়াল ইংলিশ মিডিয়াম মডেল হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত চিফ মিনিস্টার'স ট্র্যাইব্যাল ওমেন উইভার্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে বিনামূল্যে সুতো বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                               অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আমরা চাই ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার জনজাতিদের নিয়ে কোন ধরণের রাজনীতি করতে চায় না। আমরা চাই প্রকৃত অর্থে তাদের উন্নয়ন করার। জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় উন্নয়নের জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে ১,৪০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, স্কুল সহ মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য এক্সটার্নাল এইডেড প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বন দপ্তরে ১,৭০০ কোটি টাকার এলিমেন্ট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। সেখানেও জনজাতিদের জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। 
                                 আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির কথা বলছেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে অষ্টলক্ষী নাম দিয়েছেন তিনি। এই উত্তর পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত ধরে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা এখন মূলস্রোতে চলে আসছে। ত্রিপুরাতেও অনেক চুক্তি হয়েছে। ২০২৪ এর ৪ সেপ্টেম্বর এনএলএফটি, এটিটিএফ এবং ভারত সরকার ও ত্রিপুরা সরকারের মধ্যে একটা সমঝোতা হয়। এরফলে যারা উগ্রপন্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা আত্মসমর্পন করেছে। ত্রিপুরায় এখন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শান্তি না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। 
                                মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা চাই জাতি জনজাতি মিলে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা ও এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলার। আমাদের সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের দীর্ঘ ২৩ বছরের সমস্যা সমাধান করেছে। তাদের সুষ্ঠু পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটা আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। সারা রাজ্যের চারটি জেলার প্রায় ১২টি জায়গায় তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘর থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, স্কুল সহ সবধরনের মৌলিক সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 
                                 অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিক নির্দেশনায় অন্তিম ব্যক্তির উন্নয়নের জন্য কাজ করছে বর্তমান সরকার। কারণ উন্নয়নের জন্য রাজনীতির কোন প্রয়োজন নেই। কারোর ঘর না থাকলে ঘর দেওয়া হবে, কারোর জল না থাকলে জল দেওয়া হবে, কারোর রান্নার জন্য গ্যাসের চুল্লি দেওয়া হবে। যা দরকার আমাদের সরকার সেসব ব্যবস্থা করে দেবে। এরমধ্যে কিসের রাজনীতি? ডাঃ সাহা জানান, ২০২৪ এর ২ অক্টোবর ধরতি আভা জনজাতিয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান নামে একটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনজাতিদের কল্যাণ সাধন। এজন্য প্রায় ৮১.১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ধরতি আভা জন ভাগিদারী অভিযান বাস্তবায়নে সারা ভারতবর্ষের মধ্যে ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এজন্য দিল্লি থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। 

                                 অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, গোমতী জেলার জেলাশাসক রিংকু লাঠের, হস্ততাঁত ও কারুশিল্প দপ্তরের অধিকর্তা অজিত শুক্লদাস, আইতরমার চেয়ারম্যান টুটন দাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ