আগরতলা, ২৪ সেপ্টেম্বর : এগ্রিকালচারাল এন্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি(APEDA) সম্প্রতি জাপানের বাজারে আটটি উৎকৃষ্ট জাতের ভারতীয় চালের প্রবর্তন করছে। তাদের স্বতন্ত্র গঠন, সুগন্ধ এবং স্বাদ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর গুনাগুনের জন্য পরিচিত, এই জাতগুলি জাপানি খাবারের সুস্বাদুতা এবং নির্ভুলতার পরিপূরক হয়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের কালিখাসা সুগন্ধি চালও। রাজ্য থেকে এই চাল জাপানের মত উন্নত দেশে রপ্তানি করার ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
যে রাজ্যগুলোর চাল জাপানে যাচ্ছে এগুলো হল, তেলেঙ্গানার সুগন্ধি জেএসআর লাচকারি কোলাম, আসামের সুগন্ধি জোহা চাল, মণিপুরের বিদেশী চাক হাও কালো এবং আঙ্গুবা (সাদা), জম্মু ও কাশ্মীরের মুশকবুদজি, মেঘালয়ের আঠালো চাল, ত্রিপুরার কালিখাসা সুগন্ধি চাল এবং সর্বাধিক বিখ্যাত বাসমতি চাল। রাজ্যের চালকে জাপানে পাঠানোর ক্ষেত্রে ত্রিপুরা স্টেট অর্গানিক ফায়ার্মিং ডেভেলপমেন্ট এজেন্সী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই প্রতিটি জাত ভারতের কৃষি-ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে প্রতিফলিত করে, ঐতিহ্যবাহী এবং সমসাময়িক জাপানি খাবারের মধ্যে বহুমুখীতা প্রদান করে। রাজ্যের চাল জাপানের মানুষের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় রাজ্যের চাষীরা কালিখাসা চাল চাষের উৎসাহিত হবেন, সেই সঙ্গে বিদেশে রপ্তানি করে বাড়তি মুনাফা পাবেন বলে অবিমত ব্যক্ত করেছেন রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের জয়েন্ট ডিরেক্টর তথা ত্রিপুরা স্টেট অর্গানিক ফায়ার্মিং ডেভেলপমেন্ট এজেন্সীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব দেববর্মা।
0 মন্তব্যসমূহ