আগরতলা, ১২ আগস্ট : স্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগ (DHR) এবং ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (ICMR)-এর দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, খুমলুং-এর মডেল রুরাল হেলথ রিসার্চ ইউনিট (MRHRU)-এ ৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ অনুষ্ঠিত হলো একটি ব্যতিক্রমধর্মী ওপেন ডে স্কুল প্রোগ্রাম – Science, Health and Innovation for Nextgen Explorers (S.H.I.N.E.)। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হলো ত্রিপুরার তরুণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে।
এই সারাদেশব্যাপী উদ্যোগের অংশ হিসেবে খুমপুই একাডেমি এবং ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল (TTAADC)-এর অধীনস্থ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১৭০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে একটি পূর্ণ দিবসের বৈজ্ঞানিক অন্বেষণ ও শেখার অভিজ্ঞতায়। প্রোগ্রামটিতে ছিল বিজ্ঞান গবেষণার সাথে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার জন্য নানাবিধ কার্যক্রম – যার মধ্যে ছিল ইন্টারঅ্যাকটিভ ল্যাব পরিদর্শন, লাইভ বায়োমেডিকেল রিসার্চ ডেমোস্ট্রেশন এবং মাল্টিডিসিপ্লিনারি গবেষণা ক্ষেত্রের সরাসরি অভিজ্ঞতা।
ছাত্রছাত্রীরা ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি, ল্যাবরেটরি ইকুইপমেন্ট পরিচালনা, হেমাটোলজি, অ্যানালিটিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকুলার বায়োলজি, প্যারাসিটোলজি ও এনটোমোলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ক্ষেত্রের সাথে পরিচিত হয়। এক আকর্ষণীয় পোস্টার ওয়াক-এর মাধ্যমে ম্যালেরিয়া-সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্প ও সেগুলির ফলাফল শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়াও, আইসিএমআরের নির্মিত বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়, যেখানে জনস্বাস্থ্য ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনে সংস্থাটির অসামান্য অবদান তুলে ধরা হয়। এই প্রদর্শনী তরুণ মনগুলিকে বিজ্ঞান ও গবেষণার সামাজিক গুরুত্ব অনুধাবন করতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল (টিটিএএডিসি)-এর শিক্ষা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা জর্জ নিলমল দেববর্মা, যিনি এই প্রোগ্রামের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, “এটি আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মনোজগতে বিজ্ঞানের বীজ বপনের এক চমৎকার উদ্যোগ।”
উপস্থিত ছিলেন ডঃ ইপসিতা ভৌমিক (বিজ্ঞানী ডি, ICMR RMRC NER, ডিব্রুগড় এবং নোডাল অফিসার, MRHRU ত্রিপুরা) এবং পি. থ্যাংসুয়ানহাউ (বিজ্ঞানী বি, ICMR RMRC NER, ডিব্রুগড়)। তারা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করেন এবং ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও গবেষণাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান।
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে MRHRU, ত্রিপুরা উত্তর-পূর্ব ভারতের গ্রামীণ ও আদিবাসী স্বাস্থ্য গবেষণাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, অঞ্চলে উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রণী ভূমিকা আবারও প্রমাণ করলো।
0 মন্তব্যসমূহ