Advertisement

Responsive Advertisement

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম জেলার মাছ চাষিরা সহায়তা পেলেন সরকারের কাছ থেকে



আগরতলা ২৩ আগস্ট : গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় পশ্চিম জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিরা আর্থিক সাহায্য পেলেন ।রবিবার পশ্চিম জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ২,১৭৩জন মৎস্য চাষীকে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত জলাশয়ের পরিমানের উপর ভিত্তি করে মোট ১কোটি ২০ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। এই উপলক্ষে শনিবার মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস সহ অন্যান্যরা।
২০২৪ সালের ২০ থেকে ২৩ আগস্ট রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা হয়।অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় রাজ্যের ৫ জেলার বিরাট অংশের মৎস্যচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।তৎক্ষণাৎ তাদেরকে ৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছিল। এক বছর বাদে শনিবার থেকে জেলা ভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের আর্থিক সাহায্য এবং মৎস্য চাষের সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মৎস্য দপ্তর। এই উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিম জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা অন্তরা দেব সরকার, বিধায়িকা মিনা রানী সরকার, পশ্চিম জেলার জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল সহ অন্যান্যরা।এই অনুষ্ঠানে পশ্চিম জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় রাজ্যের দক্ষিণ জেলা, সিপাহীজলা জেলা, গোমতি জেলা, পশ্চিম জেলা এবং উনকোটি জেলার মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হন।বন্যায় দপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। মন্ত্রী আরও জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যের জন্য দপ্তর রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এসডিআরএফ ফান্ড থেকে মৎস্য চাষীদের সাহায্যের জন্য ১৭ কোটি টাকা প্রদান করেছে। এই টাকা থেকেই আজ পশ্চিম জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩৬ হেক্টর জলাশয়ের মোট ২১৭৩ জন সুবিধাভোগীদের সাহায্য করা হচ্ছে। মৎস্যমন্ত্রী জানান পশ্চিম জেলার এই আর্থিক সাহায্যের মোট পরিমাণ ১কোটি ২০ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা।
এদিন মৎস্য মন্ত্রী আরো জানান রাজ্যে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী জানান প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় প্রতিবছর রাজ্যে দুই থেকে আড়াইশো কানি নতুন পুকুর খনন করা হচ্ছে।এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য বিকাশ যোজনা, রেগা প্রকল্প এবং অন্যান্য প্রকল্পেও নতুন পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ