Advertisement

Responsive Advertisement

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হলো ২০২৫ সালের খার্চি উৎসবের



আগরতলা, ৩ জুলাই : প্রতি বছরের ন্যায় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরাতন আগরতলায় শুরু হল ২০২৫ সালের ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব। বৃহস্পতিবার ৭দিন ব্যাপী এই বাৎসরিক পূজা উৎসব ও মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, স্থানীয় বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, বিধায়িকা স্বপ্না দেববর্মা, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দের জন্য আমলে চতুর্দশ দেবতা বাড়ি মন্দিরে এই পূজা প্রচলন হয়েছিল বলে জানা যায়। এই পূজাটি এক সময় জনজাতি অংশের মানুষের অন্যতম পূজা হলেও এখন তা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যগুলি এমনকি বাংলাদেশ থেকেও মানুষ এই উৎসবের দিনগুলোতে আসেন। সাত দিনের এই উৎসবে ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। 
 সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরব হলেন রাজ্যের বর্তমান সরকার ধর্মীয় পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করছে। এই মেলার শুধু মানুষের সমাগম নয় এর মাধ্যমে রাজ্যের শিল্পীদের হাতে তৈরি কুটির শিল্পের বিভিন্ন সামগ্রী প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়ে থাকে এবং এই সকল কুটিরশিল্পীরা আর্থিকভাবে লাভবান হন। 
 রাজ্য সরকার কলা সংস্কৃতি ইত্যাদিকে ছড়িয়ে দিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এক সময় রাজ্যের যাত্রা পালা এবং পুতুল নাচের প্রচলন ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার হারিয়ে যাওয়া ঐ শিল্পগুলোকে পুনর্জীবিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সর্বোপরি সরকার মানুষের কল্যাণে সব ধরনের কাজ করছে প্রতিনিয়ত বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন। 
রাজন্য আমল থেকে এই পূজা মেলা এবং উৎসব চলে আসছে। উৎসব উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের তরফে তাদের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের বিষয়গুলো প্রদর্শনী স্টলে তুলে ধরা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য উপস্থিত অতিথিরা ফিতা কেটে স্টল গুলির উদ্বোধন করেন। প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের প্রদর্শনী স্টলটি উদ্বোধন করেন। এই সময় স্টলে কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের পশ্চিম জেলা অফিসের ডি ডি এ রঞ্জিত কুমার দাস, পুরাতন আগরতলা কৃষি মহকুমা অফিসের এস এ রাজশ্রী চক্রবর্তী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পিনাকী শঙ্কর দে, মৌসুমী দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। দপ্তরের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে রিসা এবং কৃষিজাত পণ্য উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য স্টল উদ্বোধন করেন উপস্থিত অতিথিরা। সবশেষে চতুর্দশ দেবতা মন্দির প্রাঙ্গণ পরিক্রমা করেন সকলে। সাত দিন ব্যাপী চলবে এই পূজা মেলা এবং উৎসব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ