আগরতলা, ২ জুলাই : মেয়াদ উত্তীর্ণ এক ইনজেকশন দেওয়া হল এক গর্ভবতী মহিলাকে বলে অভিযোগ ঐ মহিলার পরিবারের সদস্যদের। রাজধানী আগরতলার লাল বাহাদুর চৌমুহনী এলাকার ঋত্বিকা মেডিকেল হলের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মহিলার পরিবারের সদস্যরা।
আগরতলার মঠ চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা সৌরভ দেব তার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাক্তার অভিজিৎ শীলের নিকট। ডাক্তার রোগিনীকে দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। সেই অনুযায়ী স্ত্রীকে নিয়ে ঋত্বিকা মেডিকেল হলে যান সৌরভ দেব। সেখানে প্রেসক্রিপশনে লেখা একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। ওই মেডিকেল হলেরই এক কর্মী ইনজেকশন দেন মহিলাকে। কিন্তু তারপরেই স্বামী সৌরভ দেব দেখতে পান ইঞ্জেকশনটি মেয়াদ উত্তীর্ণ। গত মার্চ মাসেই এই ইনজেকশনের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে পুনরায়ের চিকিৎসকের কাছে যান। এদিকে থানায় মামলাও দায়ের করেছেন স্বামী সৌরভ দেব।
ঋত্বিকা মেডিকেল হলের মালিক ঘটনাটি স্বীকার করেন। তার বক্তব্য, এক মাস আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধগুলি ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ইনজেকশনটি কিভাবে রয়ে গেছে তা তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন না। এদিকে মেডিকেল হলের যে কর্মী ইনজেকশনটি দিয়েছেন তারও বক্তব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দোকানে রাখা হয় না। সেই কারণেই ইনজেকশন দেওয়ার আগে এসে তার মেয়াদ রয়েছে কিনা সেটি যাচাই করেনি। গোটা ঘটনায় ঋত্বিকা মেডিকেল হলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। মেয়াদ না দেখে কিভাবে একজনের শরীরে ইনজেকশন দেয় মেডিকেল হলের কর্মীরা, এমনই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ জনগণ। এদিকে প্রশাসন এই বিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেটাই দেখার বিষয়। এদিকে রোগীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও এই মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশনের ফলে কোন সমস্যা দেখা দেয় কিনা, সেই চিন্তাতেই রয়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা।
0 মন্তব্যসমূহ