Advertisement

Responsive Advertisement

বিদ্যুৎ মাসুল নিয়ে বামেরা দ্বিচারিতা করছে : রতন লাল নাথ


আগরতলা, ১৪ জুলাই : গিরগিটি রঙ বদলায়, আবার কোন কোন রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজেদের সুবিধার জন্য রঙ পাল্টায়, এই অভিযোগ রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। স্মার্ট মিটার প্রসঙ্গে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি। 
তিনি আরো বলেন, স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে রাজ্যের মানুষদের উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্ত করছে বিরোধী দল। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন রতন লাল নাথ। সাথে তিনি পুরাতন রেকর্ড ঘেটে জানান, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যুৎ মাশুল ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার এখন সিপিআই(এম) নেতৃত্বরা বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে ধর্ণা দিতে যায়।
সিপিআই(এম) শাসনকালের শেষ সাত বছরে ১১৬.০৩ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল বলেও জানান। তাদের শাসনকালে ২০১০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ৬২ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তেমনি, ২০১২ সালে ০৭.৭৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৪০.৪৫ শতাংশ, ২০১৫ সালে ০৫.৮৩ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সরকারের শাসনকালের সাত বছরে ২০২০ সালে ২.৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল উল্টো কমানো হয়েছে বলেও জানান। তেমনি, ২০২২ সালে ০২.৩৪ শতাংশ, ২০২৪ সালে ০৭ শতাংশ, ২০২৫ সালে ৭.১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাস্যকর ব্যাপার এখন সিপিআই(এম)র নেতৃত্বরা বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে ধর্ণা দিতে যান। এদিন তিনি বলেন, টাকার তুলনায় ডলারের দাম উঠা না করার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম উঠানামা করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডলারের দাম বৃদ্ধি পেলেও বিদ্যুৎ মাসুল একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ঠিক করে দিয়েছে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত গোটা দেশে ডলারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস ক্রয় বিক্রয় করা হত। সেই ক্ষেত্রে ডলারের দাম বৃদ্ধি পেলে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পাবে। তাই ২০১০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ৬২ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এবিষয় নিয়ে জনসম্মুখে সত্যি কথা বলেননি। সবকিছু জানার সত্বেও সিপিআইএম জনগনকে বিভ্রান্ত করছে। মন্ত্রীর দাবি, বিদ্যুতের বেসরকারিকরণ করেছে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার, ২০০৪সালে বাম সরকার বিদ্যুৎ কে বেসরকারি হাতে তোলে ধরেছে বলেও জানান। আগে ছিল সরকারের অধীন এরপর তা নিগমের অধীনে হয়। তার কথায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাসের দাম বাড়লে বিদ্যুৎ ইউনিটের দাম সামঞ্জস্য রেখেই বাড়বে। ২০১১ সালের বাম আমলে কমিশনের করে দেওয়া আইনে বিদ্যুৎমাসুল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিয়ম মেনেই হবে। সেই নিয়ম মেনেই চলছে বর্তমান বিজেপি সরকার। কমিশনের তরফে যেভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের আসল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা গ্রাহকদের কাছ থেকে এক মাসেই না নিয়ে দুই মাসে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি আরও বলেন, যাঁরা ৪১২ ইউনিট মাসে ব্যবহার করেন তাদের বিল আসে মাসে ৩,০০৫ টাকা। তাদের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা রিবেট দেওয়া হয়। তাদের ক্ষেত্রে এরিয়ার আসবে ৩১৮ টাকা এটাই বর্ধিত সেই বিল এখন থেকে এ ৩১৮ টাকা একসঙ্গে না নিয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতি বিলের সঙ্গে কেটে নেওয়া হবে। সাথে তিনি যোগ করেন, বিদ্যুতের হুক লাইন বন্ধ করতে এবার ড্রোন ক্যামেরা আনছে সরকার। মন্ত্রী বলেন বামের যখন দাম বাড়িয়েছিল তখন তা ঠিক ছিল আর এখন তারাই আন্দোলনের কথা বলছে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ