Advertisement

Responsive Advertisement

কলমচৌড়া থানা এলাকার কুখ্যাত মানব পাচারকারী পুলিশের জালে




আগরতলা, ২০জুন : সোনামুড়া মহকুমার অন্তর্গত কলমচৌড়া থানা এলাকার মানব পাচারের মাস্টার মাইন্ড শরীফ মিয়া অবশেষে পুলিশের জালে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার পুলিশ, বিএসএফের ৪৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ন এবং কলমচৌড়া থানার যৌথ অভিযানে দুধপুকুর মসজিদ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয় শরীফ। একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে পুলিশ তাকে ধরতে সফল হল।
প্রায় প্রতিদিনই রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশীরা অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে রাজ্য দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে। এর পেছনে রয়েছে একদল দালালের হাত বলে অভিযোগ। রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারের সাথে যুক্ত এই দালালরা সক্রিয়। এমনই এক মানব পাচারকারীকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত মানব পাচারকারীর নাম শরীফ মিয়া। পিতা বাচ্চু মিয়া। কলম চৌড়া থানার দুধপুকুর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় তার বাড়ি। প্রায় বছর খানেক আগে আগরতলা রেলস্টেশনে ধরা পড়া অবৈধ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে শরীফ মিয়ার নাম খুঁজে পায় আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার পুলিশ। সেই মতো একাধিকবার তার বাড়িতে পুলিশ যৌথ ভাবে তল্লাশি চালায়। কিন্তু শরীফ মিয়ার টিকির নাগাল পায়নি পুলিশ। বরাবরই পালিয়ে যায় শরীফ। কিন্তু বৃহস্পতিবার শেষ রক্ষা হয়নি।জিআরপি থানার পুলিশ গোপন সংবাদে খবর পায় শরীফ মিয়া তার বাড়িতেই অবস্থান করছে। সেই মতো আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার পুলিশ বিএসএফের ৪৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ান এবং কলমচৌড়া থানার সহযোগিতা নিয়ে মধ্যরাতে দুধপুকুর মসজিদ সংলগ্ন তার বাড়ি চারদিক দিয়ে ঘেরাও করে অভিযান চালায়। বাড়িতে তখন ঘুমোচ্ছিল সে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানায় নিয়ে আসে। রাতভর শরীফ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মানব পাচারের সাথে যুক্ত আরো কিছু নাম পুলিশ সংগ্রহ করে। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন রয়েছে বলে ধৃত শরিফ মিয়াকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুক্রবার আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার পুলিশ আধিকারিক এই সংবাদ জানান।
উল্লেখ্য করলাম চৌড়া থানা এলাকার শরীফ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারের সাথে যুক্ত। এলাকায় মানব পাচারের মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার হওয়ায় সুনামুরা মহকুমার সীমান্ত এলাকার দিয়ে মানব পাচার হ্রাস পাবে বলেই মনে করছে পুলিশ ও বিএস এফের গোয়েন্দা শাখা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ