রাজ্যের আলু চাষের বিষয়ে জানতে নাগিছড়ায় মিজোরাম সরকারের প্রতিনিধি দল

আগরতলা, ২০জুন : রাজ্যে এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ দেশের মধ্যে সারা ফেলতে সক্ষম হয়েছে। পেয়ার সি পদ্ধতিতে রাজ্যের আলুর উৎপাদন দেখে রীতিমত অভিভূত দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষি গবেষকরা। এই বিষয়টি দারুন ভাবে আকৃষ্ট করেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরাম সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরকে।

মিজোরাম সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধি দল দুই দিনের ত্রিপুরা সফরে এসেছেন। এই প্রতিনিধি দলটি শুক্রবার রাজধানীর পার্শবর্তী নাগিছাড়ায় অবস্থিত রাজ্যের একমাত্র উদ্যান ও বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন।

তাদের পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য ছিল টিস্যু কালচার, এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ প্রযুক্তি এবং আলুর প্রকৃত দানা বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি। পাশাপাশি টিস্যুু  কালচার ল্যাবরেটরি কী ভাবে কাজ করছে এই সম্মন্ধে প্রশিক্ষণ নেবার জন্যে।

প্রথমে আধিকারিকদের রাজ্যের পক্ষে গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ড. রাজীব ঘোষ স্বাগত জানান এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গবেষণা কেন্দ্রের কার্যাবলীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।

তারপর টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরিতে কর্মরত সহ অধিকর্তা প্রান্তিকা সিনহা এআরসি নিয়ে কথা বলেন।

এরপর সহ অধিকর্তা অম্লান দত্ত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন আলুর দানা বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি নিয়ে।

এরপর ইন্টারেকশন চলে অনেকক্ষন। মিজোরাম থেকে আসা অতিথিরা জানতে চান এ আর সি এবং দানা বীজ প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে,

উনারা এই সব প্রযুক্তি মিজোরামের মাঠে প্রয়োগ করতে চান।

এ আর সি প্রযুক্তির লাভালাভ দেখে মুগ্ধ হন মিজোরাম সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

 এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ড. বি রামুনসঙ্গা, ড. স্যামুয়েল লালিয়ানসঙ্গা, ড. এম চিনল্যাম্পাইয়াএনগা এবং ড. শমীক চৌধুরী।