Advertisement

Responsive Advertisement

TRLM এর উদ্যোগে এখন পশ্চিম জেলায় মহিলারা তৈরি করছেন কলম


আগরতলা, ৮ মে : রং বেরঙের কলম মানেই বহি:রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় আসে, কারণ এখানে কোন শিল্পকারখানা নেই তাই কলম আমদানির জন্য বহি:রাজ্যের উপর নির্ভর করতে হয়, এটাই ছিল আমাদের ধারণা। কিন্তু আমাদের এই ধারণাকে ভ্রান্ত করে পশ্চিম জেলার স্ব সহায়ক দলের মহিলা সদস্যরা নানা রঙের কলম এবং এগুলো বাজারে বিক্রি করছেন। 
মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। তাই সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যের মহিলাদেরকেও স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে চলছে। ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশন, ত্রিপুরা শহুরে জীবিকা মিশন ইত্যাদির মাধ্যমে মহিলাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। কুঠির শিল্প এবং হস্তজাত সামগ্রী তৈরি করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবার দাবার প্রসাধনসামগ্রী কিনা তৈরি করছেন মহিলারা। সরকারের এই কর্মসূচি ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে দৃশ্যমান হচ্ছে। এই কাজে সবচেয়ে বেশি তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে পশ্চিম জেলায়। তারা নতুন নতুন সামগ্রী তৈরি করে সকলকে অবাক করে দিচ্ছেন এরমধ্যে যেমন রয়েছে কলম তৈরি, চটি সহ বিভিন্ন ধরনের জুতা তৈরির কাজ। একসময় রাজ্যে এই সকল সামগ্রী তৈরি হবে তা কখনো কল্পনা করাই যেত না কিন্তু এই বিষয়গুলোকে সাহসিকতার সঙ্গে বাস্তব করে দেখাচ্ছেন পশ্চিম জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন সহায়ক দলের মহিলারা। 
 এই কাজে মহিলাদেরকে উৎসাহিত করছেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমার। সম্প্রতি তিনি নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করে এই জেলার বামুটিয়া ব্লকের অন্তর্গত নতুন নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের SFJK -NFC এর সদস্যদের কলম তৈরির যন্ত্রপাতি কিনে দেন জেলা শাসক। সেই সঙ্গে তাদেরকে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেন। এই গ্রুপের কুড়ি জন মহিলা সদস্য এখন নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন ধরনের কলম তৈরি করছেন। 
বৃহস্পতিবার দুর্জয়নগর এলাকার তাদের কারখানা পরিদর্শন করলেন এই বিধানসভা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক এবং সমাজসেবী ডা দিলীপ কুমার দাস, ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিনহা, ভাইস চেয়ারম্যান জুটন দাস, বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য পঞ্চায়েত অফিসার শর্মিষ্ঠা দেবরায় সহ ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অন্যান্য কর্মচারীরা। 
গ্রুপের মহিলা সদস্যারা উপস্থিত সকলের সামনে কি করে কলম তৈরি করতে হয় তা দেখান। তাদের কাজ দেখে দারুন প্রশংসা করেন সমাজসেবী ডা দিলীপ কুমার দাস, বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য সহ উপস্থিত সকলে।
মহিলা সদস্যরা জানান রাজ্য সরকারের তরফে তাদেরকে আত্মনির্ভর করে তোলার জন্য কলম তৈরির সামগ্রী এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ায় তারা খুশি। সেই সঙ্গে তারা আর্থিক ভাবেও লাভবান। এইজন্য তারা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। 
উপস্থিত অতিথিরা এদিন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদের হাতে প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেটও তুলে দেন। কলম তৈরির পাশাপাশি গ্রুপের বেশ কয়েকজন মহিলা সদস্য মুখরোচক খাবার দাবারো তৈরি করে থাকে। আগামী দিনে যাতে তাদেরকে আরো অন্যান্য সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যায় এই আশ্বাসদেন উপস্থিত অতিথিরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ