প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির স্টলে কৃষক থেকে শুরু সকলের উপচে পড়া ভিড়

আগরতলা, ৯ মে: প্রাকৃতিক কৃষি নিয়ে সাধারণ কৃষক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ সকল অংশের মানুষের ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইম্ফল আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে লেম্বুছড়া এলাকার মৎস্য মহাবিদ্যালয়ে। শুক্রবার ছিল এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজের ছাত্র-ছাত্রী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কৃষক আবাল বৃদ্ধ বণিকাদের সামনে প্রদর্শনিতে রাজ্য প্রাকৃতিক কৃষি প্রতিষ্ঠান ( রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ত্রিপুরা ) প্রদর্শিত "প্রাকৃতিক কৃষি ভূমি মাতার রক্ষাকবচ " শিরোনাম সম্বলিত প্রাকৃতিক কৃষি স্টলটি সবার নজর কেড়েছে। সবার জ্ঞাতার্থে খুব সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে প্রাকৃতিক কৃষি কেন? কি এবং কিভাবে করা যাবে। সচিত্র বর্ণনা ফুটে উঠেছে রাজ্য কৃষির উদ্বাবনি ভবিষ্যৎ, স্থানীয় সম্পদের যথাযথ প্রয়োগ তথা দেশি গরুর গোবর গোমূত্র গুড় বেসন ঔষধি গাছের পাতার নির্যাসে তৈরি গাছের খাবার কীটশত্রু দমনের ঔষধ চাষবাস পদ্ধতি ফুটিয়ে তুলেছেন নতুন আঙ্গিকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেনারেল ম্যানেজার নাবার্ড, ডিন ফিশারি কলেজ এবং অন্যান্যদের উপস্থিতিতে প্রাকৃতিক কৃষি প্রদর্শনী ফলের উদ্বোধন করেন মাত্র কয়েক মিনিটের উপস্থিতিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে প্রাকৃতিক কৃষির প্রেক্ষাপট, তার সুযোগ ভবিষ্যৎ ভূমির স্বাস্থ্য উদ্ধার তথা কৃষকদের আর্থিক লাভালাভ এবং পুষ্টিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক সহধিকর্তা পিনাকী শংকর দে। সঙ্গে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের তথা রাজ্য কৃষি গবেষণাগারের অন্যান্য কর্মীরা। জনসমাগমের উপস্থিতিতে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রদর্শনীর এই স্টল। জানা গেছে এরই মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান সারা দেশে প্রাকৃতিক কৃষি সূচনা লগ্নে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। অরুন্ধতীনগর এলাকার রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে শুরু হওয়া প্রায় ১২বিঘা জমিতে প্রাকৃতিক কৃষির আসর, এরই মধ্যে বিজ্ঞানীরা মাটির ভৌত পরিবর্তন মৃত্তিকা বাস্তুকার তথা কেচুর আনাগোনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বরবটি ডাটা মিলেট ইতিমধ্যেই ফসল তোলার কাজ শুরু হয়েছে যা কিনা স্বাদে অতুলনীয়। একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা ডঃ উত্তম সাহা বলেন, আগামী দিনে কৃষি ক্ষেত্রে এই প্রাকৃতিক কৃষি এক বিরাট ভূমিকা নেবে এবং মাটির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করে জৈব বৈচিত্রের সমাহারে তথা স্থানীয় সম্পদের যত উপযুক্ত ব্যবহারিক প্রয়োগে রাজ্য প্রাকৃতিক ভাবে নতুন মাত্রা পাবে।