আগরতলা, ৩১ মে : আনারসের মত ত্রিপুরা রাজ্যের কাঁঠালও অত্যন্ত সুস্বাদু তাই এর চিপস এবং কাঁচা কাঁঠাল মাংসর বিকল্প হিসেবে সারাদেশে নতুন করে সাড়া জাগাতে পারে, এই অভিমত তামিলনাড়ুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি অন্তরপনার শিপ এন্ড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটর গৌহাটি শাখা থেকে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্রিয়াঙ্কা বর্মন'র। গ্রামীণও মহিলাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশন তথা টি আর এল এম। এই মিশনের পশ্চিম জেলা অফিসের তরফে যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে গ্রামীণ অংশের মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য টি আর এল এম এর পশ্চিম জেলা অফিসের সকল স্তরের কর্মীরা প্রতিনিয়ত চিন্তা ভাবনা করে থাকেন। তাদের এই চিন্তাভাবনার ফল স্বরূপ মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নিত্য নতুন ট্রেনিং এর আয়োজন করা হচ্ছে। বিশেষ করে স্থানীয় এলাকার ফলমূল এবং সামগ্রী ব্যবহার করে যাতে সহজেই মহিলারা আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারেন এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে টিআরএলএম'র পশ্চিম জেলার অফিসের তরফে আনারস এবং কাঁঠাল দিয়ে জ্যাম জেলি আচার কোমল পানীয় ও চিপস তৈরির তিনদিন ব্যাপি জেলা স্তরের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়।
পশ্চিম জেলার অন্তর্গত বেলবাড়ি ব্লকের তালনি পহর এলাকায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ শিবিরে পানীয় এলাকার মোট ১০ জন জনজাতি মহিলা প্রশিক্ষণ নেন।
তামিলনাড়ুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি অন্তরপনার শিপ এন্ড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটর গৌহাটি শাখা থেকে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্রিয়াঙ্কা বর্মন প্রশিণার্থীদের কাঁঠাল ও আনারস দিয়ে চিপস, আচার, জ্যাম, জেলি তৈরীর প্রশিক্ষণ দেন।
২৯ মে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার শেষ দিন ছিল শনিবার। এদিন প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক মেঘা জৈন, বেলবাড়ী ব্লকের বিডিও সমীরন রায়, টি আর এল এম'র পশ্চিম জেলা মিশন কর্ডিনেটর ইনচার্জ সুচিস্মিতা রুদ্রপাল, বেলবাড়ি টি আর এল এম ব্লক মিশন কোর্ডিনেটর অনির্বান দাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
রিসার্চ ফেলো প্রিয়াঙ্কা বর্মন বলেন, আনারসের এবং কাঁঠালের জ্যাম জেলি ও আচার বানানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। পাশাপাশি এই দুটি ফলের পাউডার বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন সারাদেশের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে এবং দক্ষিণ ভারতে কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। তবে ত্রিপুরা রাজ্যের কাঁঠাল সারাদেশের মধ্যে স্বাদে ঘন্ধে অতুলনীয়। এই ভিন্নতার জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের কাঁঠাল সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করবে। মানুষ কাঁঠালকে নিরামিষ মাংস হিসেবে ব্যবহার করছেন এই জায়গাতেও ত্রিপুরা রাজ্য আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভ করতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। আগামী দিনে এই পণ্যগুলো বাণিজ্য সারাদেশে ব্যাপক সাড়া দেবে বলেও জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ