Advertisement

Responsive Advertisement

স্বাস্থ্য মিশন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সঙ্গে আইসিএমআর-আরএমআরসিএনই'র মউ



আগরতলা, ২৮ এপ্রিল : রাজ্যের নারী ও শিশুদের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর, ত্রিপুরা সরকার এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল সায়েন্স – রিজিওন্যাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, ডিব্রুগড়ের সঙ্গে সোমবার মৌ স্বাক্ষরিত হয়। রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে একটি মউ স্বাক্ষর হয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল সায়েন্স – রিজিওন্যাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, ডিব্রুগড়ের সহযোগিতায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর, ত্রিপুরা সরকার রাজ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য গবেষণা প্রকল্প চালু করল। এই গবেষণাগুলির লক্ষ্য হলো কিশোরীবিবাহ ও গর্ভধারণ, রক্তাল্পতা এবং নবজাতকের মৃত্যুহার সংক্রান্ত জটিল সমস্যা মোকাবিলা করা, যাতে প্রতিরোধযোগ্য মাতৃ ও শিশুমৃত্যু শূন্যের কোঠায় আনা যায়।  
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সচিব কিরণ গিত্ত্যে বলেন , মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রাজ্য সরকারের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মূল কারণ খুঁজে বের করার জন্য গবেষণাই একমাত্র উপায় এবং এর মাধ্যমে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রমাণভিত্তিক তথ্য পাওয়া যায়। ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান। কিশোরী বিবাহ- কিশোরী গর্ভধারণ সেইসঙ্গে রক্তাল্পতা এবং নবজাতকের মৃত্যুহার শূণ্যের কৌঠায় আনার জন্য এই জাতীয় তৃণমূল স্তরের গবেষণা প্রয়োজন।
ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা গত কয়েক বছরে অনেক উন্নতি করেছে। রাজ্যে শিশু মৃত্যুহার প্রতি ১০০০ শিশুর মধ্যে ১৮ জন, যেখানে জাতীয় গড় প্রতি ১০০০ শিশুর মধ্যে ২৮ জন। ৯৮% এরও বেশি গর্ভবতী মহিলা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানেই সন্তান প্রসব করছেন।   
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকারের অধিকর্তা প্রফেসর ডাঃ তপন মজুমদার, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা প্রশান্ত বাদল নেগি,পরিবার পরিকল্পনা ও রোগ প্রতিরোধক অধিকারের অধিকর্তা ডাঃ অঞ্জন দাস, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল সায়েন্স – রিজিওন্যাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, দিব্রুগড়ের অধিকর্তা ডাঃ সুবর্ণ রায়, ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার এর সেক্রেটারি ধরকার আর লুইকাং, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের প্রোগ্রামে অফিসার ডাঃ সঞ্জয় রুদ্র পাল সহ অন্যান্যরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ