Advertisement

Responsive Advertisement

গেজেটেড অফিসার্স সংঘের কার্যালয় তৈরির জন্য ভূমি নিবন্ধিকরণ সম্পন্ন


আগরতলা, ৩ জুলাই: গেজেটেড অফিসার্স সংঘের প্রদেশ কমিটি ও বর্ধিত কার্যকারী কমিটি গত ৫ এবং ৮ মে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের জমিক্রয় ও নিবন্ধী করন সম্পন্ন হয় ৩ জুলাই বুধবার। সংঘের সকল সক্রিয় সদস্যের সমর্পিত নিধির মাধ্যমে এই ভূমি ক্রয় সপন্ন হয়েছে। সংগঠনের ত্রিপুরা প্রদেশের এই সাফল্যের অন্তরালে যাদের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে, সবাইকে অভিন্দন জানানো হয়। সেই সাথে সংগঠন নিজের স্থায়িত্ব ও শ্রীবৃদ্ধির জন্য স্বতত সচেষ্ট; ফলস্বরূপ এই সফলতা বলে বুধবার বিকেলে আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠনের তরফে জানান গেজেটেড অফিসার্স সংঘের ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সভাপতি তপন দাস। 
তিনি আরো বলেন, রাজ্যবাসী অবগত রয়েছেন যে সামাজিক দায়বদ্ধতার অঙ্গ হিসাবে করোনাকালে মূখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে সংগঠন ৯ লক্ষ টাকা দান করেছে। পাশাপাশি বহুমুখী জন কল্যানকারী শিবিরের মাধ্যমে জনগনকে পরিষেবা প্রদান, রক্তদান শিবির, চিকিৎসা শিবির, বিনামূল্যে বই, করোনা কবলিত দুর্গত মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে রেশন, গরীব ছাত্রছাত্রীদের বিনা মূল্যে মোবাইল, অনাথ অসহায় শিশুদের জন্য আর্থিক সহায়তার মতো অগনিত সমাজিক কাজ নিরন্তর করে আসছে এই সংগঠন। প্রসঙ্গত, এই সব সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে রাজ্যের ৮টি জেলা, ২৩টি মহকুমা তথা ৫৮টি ব্লকে, প্রদেশ ও জনহিতে কর্মরত আধিকারিকদের বিভিন্ন পেশাগত সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধা, ইচ্ছা-আনিচ্ছা সম্পর্কে অবগত হওয়ার প্রয়োজনে ভূমি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নিরন্তর প্রয়াসের ফলে সফল ভাবে ভুমি ক্রয় সমপন্ন হয়েছে। যদিও এই সফলতার পথ মোটেই সহজ ছিলনা। প্রতিকূলতার পাহাড় যেন পথ অবরোধ করে বসেছিল। সংগঠন যেন সফল হতে না পারে, সেইজন্য লক্ষ্যে নিধি সংগ্রহকালে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক দেবাশীষ রায়কে জড়িয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, নিরাধার সংবাদ পরিবেষিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। এইসব সংবাদ গুলো ছিল উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং এই সমস্ত সংবাদ গুলির তীব্র প্রতিবাদ জানায় সংগঠন। প্রকৃত সত্য ঘটনা হল, সংগঠন সর্ব সম্মতিক্রমে যে দায়িত্ব সাধারন সম্পাদককে অর্পন করা করেছে, সেই দায়িত্ব তিনি সম্পূর্ণ সততা নিষ্ঠা ও পারদর্শিকতার সাথে সম্পাদন করেছেন। সংগঠন সাধারন সম্পাদকের এই অসাধারন কর্তব্য পালনের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানায়। এই সব মিথ্যা খবরে কর্ণপাত না করে, লক্ষ্যে অবিচল থেকে তিনি সম্পূর্ন সংগঠনকে নিয়ে নিরন্তর নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। সংগঠনের প্রতি তার সততা, নিষ্ঠা ও পারদর্শিতা যে কোনো সংশয়ের উর্ধে বলে সংগঠন মনে করে বলেও অবিমদ ব্যক্ত করেন সভাপতি।
এদিনের এই আনন্দঘন মুহুর্তে সংগঠন তার সকল রাজ্য, জেলা এবং দপ্তর স্তরের নেতৃবৃন্দ, সকল সদস্য, সদস্যা, শুভাকাঙ্খী, সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। সেই সাথে সমস্ত ষড়যন্ত্রকারী, বাধাদানকারী, কুচক্রী, পরশ্রীকাতর এবং সংগঠনের এই মহত উদ্যোগকে বিফল করার অপচেষ্টায় যারা লিপ্ত ছিলেন তাদেরকেও সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান সভাপতি। সংগঠনের সাথে সবার উন্নতি ও সফলতা কামনা করেন। 
এদিন বিশেষ ধন্যবাদ জানানো হয় শ্রী শ্রী রামঠাকুর সেবামন্দির, বনমালিপুর, আগরতলা আশ্রম কমিটির সন্মানিত উপদেষ্টা সুবল দে এবং সম্পাদক স্বপন কুমার বণিক সহ আশ্রম কমিটির সকল সদস্য যারা এই মহতি কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। এই নিবন্ধিকৃত জমিতে ভবন নির্মান সংক্রান্ত বিষয়ে প্রদেশ ও বর্ধিত কার্যকরী কমিটির পরবর্তী বৈঠক গুলিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানান সভাপতি। এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতির পাশাপাশি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ