আগরতলা, ২৬ জুন : 'শিক্ষার্থীদের সংখ্যা স্বল্প' এই অজুহাতে রাজ্য সরকার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার গ্রাম-পাহাড়ের প্রায় ১৬০টি বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং বিদ্যালয় গুলিকে পাশ্ববর্তী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ইতি মধ্যে এই ১৬০টি বিদ্যালয়ের তালিকা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিস থেকে জারি করেছেন এবং একই অজুহাতে রাজ্যের অন্য ৭টি জেলাতেও স্কুল বন্ধ করার প্রয়াস করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাসহ রাজ্যের অন্যান্য জেলার সমতল ও পাহাড়ের গ্রামীণ অঞ্চলের দরিদ্র শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা 'শিক্ষার অধিকার' থেকে বঞ্চিত হবে বলে অভিযোগ কংগ্রেস সহ তাদের শাখা সংগঠনগুলি।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার ত্রিপুরা প্রদেশ যুব কংগ্রেস ও ত্রিপুরা প্রদেশ NSUI এর পক্ষ থেকে ডাইরেক্টর অফ এলিমেন্টারি স্কুল এডুকেশনের নিকট এক ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে প্রতিনিধি দলের তরফে শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিও প্রদর্শন করা হয়।
৬ জনের প্রতিনিধি দল ডাইরেক্টর অফ এলিমেন্টারি স্কুল এডুকেশনের সঙ্গে দেখা করেন। তখন ডাইরেক্টর প্রতিনিধি দলকে জানান, যে ওনারা এখন পর্যন্ত স্কুলগুলিকে সংযুক্ত করার কোন রকম সিদ্ধান্ত নেননি উনারা কেবল মাত্র স্ক্রীনিং করছেন।
এই সময় প্রতিদিন দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যদি এই ১৬০টি স্কুলকে সংযুক্ত করা হয় উন্নত স্কুল গুলির সঙ্গে তবে রাজ্যের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে ফলে ওইসব ১৬০টি স্কুল কে যেন অন্য উন্নত স্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত না করা হয় এবং যদি এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।
এদিনের এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন যুব কংগ্রেস সভাপতি নীল কলম সাহা, যুব নেতা আমির হোসেন, প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সাধারন সম্পাদিকা শ্রেয়শী লস্কর, ছাত্র নেতা রাজদ্বীপ ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
0 মন্তব্যসমূহ