Advertisement

Responsive Advertisement

ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী পাচারকারী

নিউজটির ভিডিও দেখার জন্য ক্লিক করুন লিংকে 👈

মমিনুল ইসলাম, বক্সনগর, ৯ জুন : ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া মহকুমার কলমচৌড়া থানাধীন আদমপুর ভারত-বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে।  
রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জামতলা এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে এঘটনা ঘটে।নিহত আনোয়ার হোসেন বাকশীমুল ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের মরহুম চারু মিয়ার ছেলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। 
স্থানীয় সূত্রের আরো জানা গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জামতলা এলাকায় চিনি পাচারকালে বিএসএফ পাচারকারীকে লক্ষ্য করে গুলি করলে আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়। 
আরো জানা যায়,গত ২ জুন ২০২৪ তারিখে জামতলা-কালিকৃষ্ণনগর ৫ পিলার সীমান্তে চিনি পাচারকারি বাংলাদেশের একটি দল বিএসএফের একজন সদস্যকে মারধর করে রাইফেল এবং ওয়ারলেস সেট নিয়ে যায়। পরে সেদেশের স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম মেম্বারের কাছে রাইফেল ও ওয়ারলেস সেট ফেরত দিলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি'র কাছে তা হস্তান্তর করে। ওই দিন সন্ধ্যায় বিজিবি ও বিএসএফের একটি মিটিংয়ে তা ফিরিয়ে দেয় এবং বি ষয়টি সমাধান হয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনার রেশ কাটেনি, এর মধ্যে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সীমান্তের উভয় অংশে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
 এদিকে এই ঘটনার পর বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের তরফে এক প্রেস রিলিজ জারি করে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়, ৯ জুন সময় সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটা নাগাদ কলমচৌড়া বিওপির অন্তর্গত সীমান্ত এলাকায় টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা কাঁটাতারের বেড়ার দুপাশে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের একটি বড় দলকে লক্ষ্য করে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে চোরাকারবারীরা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং জওয়ানের ব্যক্তিগত অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ঘেরাও করার চেষ্টা করে।
জীবন এবং সরকারী সম্পত্তির জন্য আসন্ন বিপদ অনুভব করে, বিএসএফ জওয়ান আত্মরক্ষায় ১ রাউন্ড পিএজি গুলি চালায়। অ-ঘাতক অস্ত্রের ব্যবহার চোরাকারবারীদের আরও ক্ষিপ্ত করে এবং তারা তাদের আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়। বিএসএফ জোয়ানের সঙ্গে চোরাকারবারিদের হাতাহাতি হয়, যার সময় জওয়ান রাজীব কুমার, তার জীবন এবং অস্ত্রের জন্য হুমকি অনুভব করে, তার ইনসাস রাইফেল থেকে এক রাউন্ড গুলি চালাতে বাধ্য হন। ফলস্বরূপ একজন বাংলাদেশী পাচারকারী সীমান্ত বেড়ার কাছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ১৫০ গজ ভিতরে নিহত হয়। পরে এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ চিনি, ৪টি ছুরি ও কাঠের তক্তা উদ্ধার করা হয়। 
 প্রেস রিলিজে আরো বলা হয় গত ২ জুন একই এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল যেখানে একই বাংলাদেশী চোরাকারবারীরা একজন বিএসএফ জওয়ানকে নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করেছিল, তাকে বাংলাদেশের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং তার ব্যক্তিগত অস্ত্র (পিএজি) এবং রেডিও সেটও ছিনিয়ে নিয়েছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ