Advertisement

Responsive Advertisement

শামুক খুঁজতে এসে কাকড়ি নদীর পারে বিদ্যুতের ছোবলে মৃত্যু এক জনজাতি মহিলার

নিউজটির ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে 👈

অয়ন নাগ, ধর্মনগর, ৭জুন : এক মহিলা বিদ্যুতের ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো। এলাকাবাসীর বক্তব্য বিদ্যুৎ দপ্তরের চূড়ান্ত অবহেলার কারণে মৃত্যু এই মহিলার বলে অভিযোগ। ঘটনার বিবরণে জানা যায় মনুঘাট এলাকার কয়েক জন আশারামবাড়ির এবং নাল কাটা এলাকার লোকেরা ধর্মনগরে কলেজ রোড এলাকার কাকরি নদী থেকে শামুক খুঁজতে আসে। তাদের সংগৃহীত শামুক চল্লিশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। প্রতিদিন সকালে ট্রেনে ধর্মনগর আসে এবং বিকেলে শামুক নিয়ে এরা যার যার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায়। আজ শামুক খুঁজতে আসে বিরসচি ত্রিপুরা বয়স ৪৫বছর, কুসুম ত্রিপুরা, বিশ্মরানি ত্রিপুরা এবং তানিশা ত্রিপুরা। তিনজন জলের মধ্যে শামুক খুঁজতে থাকলেও বিরসচি ত্রিপুরা বিদ্যুতের একটি ছেঁড়া তারে জড়িয়ে যায়। সাথে সাথে এলাকাবাসীরা ধর্মনগরের অগ্নি নির্বাপক বাহিনীকে খবর দেয় একই সাথে বিদ্যুৎ দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়। বিদ্যু দপ্তরের লোকেরা এখন যায় এবং অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর লোকেরা মৃতদেহকে ধর্মনগর উত্তর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানায় বিরসচি ত্রিপুরা মৃত বলে। ধর্মনগরের হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিমত দীর্ঘদিন ধরে একটি তার ছিড়ে পড়ে আছে বার বার বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ফোন করে জানানোর পরও তারা সাড়াই করতে আসেনি। এখন এক মহিলার মৃত্যু বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ভালো করে জানান দিল। বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকেদের চূড়ান্ত অবহেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর অভিমত। উল্লেখ্য মৃত বিরসচি ত্রিপুরার স্বামী ধ্বংস ত্রিপুরা একজন কৃষি কাজ করা কৃষক মানুষ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ