Advertisement

Responsive Advertisement

তৃণমূলের শেষের সময় ঘনিয়ে আসছে, একমাত্র বিজেপিই প্রকৃত উন্নয়ন করতে পারে: মানিক সাহা


কলকাতা, ১৯ মে: তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ শাসন করছে সেটা সিপিএম-এর শাসনের জেরক্স কপি। কোনদিক দিয়েই সিপিএম থেকে কিছু কম নয় তৃণমূল। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে সিপিএমকেও পার করেছে তারা। একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি দেশকে উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। 
                   রবিবার পশ্চিমবঙ্গের মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী অশোক পুরকাইতের সমর্থনে রায়দিঘীতে আয়োজিত জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                      ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম তারকা প্রচারক হিসেবে আরো একবার পশ্চিমবঙ্গে পা রাখলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এরআগেও কয়েক দফায় বঙ্গের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে জোরদার প্রচার কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেছেন ডাঃ সাহা। দলের দিল্লির হাই কমান্ডের নির্দেশে রবিবার বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইতের সমর্থনে পৃথক পৃথক নির্বাচনী জনসভায় জনতাকে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। 
                    সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে এসে আমাকে যেভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে এজন্য সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এই সম্মাননায় আমি খুবই আপ্লুত। এবার কয়েক দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ত্রিপুরায় ১৯ এপ্রিল ও ২৬ এপ্রিল দুটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি টানা প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার ঘুরে সেখানে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। আর এই দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে চপারে নয়, বরং গাড়ি ও ট্রেনে সফর করেছি। এরমধ্যে ৬ হাজার কিলোমিটার গাড়িতে এবং ২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ট্রেনে সফর করেছি। মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আশীর্বাদ করছেন। ত্রিপুরার দুটি আসনে তো জয় একেবারে সুনিশ্চিত। আর এখনো মথুরাপুরেও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। সেটা মানুষের সমর্থন দেখে বোঝা যায়। 
                           সভায় সম্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, এটা স্পষ্ট যে মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চায় এবং ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করে। ভারতীয় জনতা পার্টি এমন একটা পার্টি যারা 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ'-এর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু বিরোধীরা বিভাজনের রাজনীতিতে লিপ্ত। এই লোকসভা নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে এবং দেশ আগামীদিনে কোন দিশায় এগিয়ে যাবে সেটা নির্ধারণ করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
                       মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পশ্চিমবাংলায় মোট ৪২টি লোকসভা আসন রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল এবং এবার বিজেপি এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার লক্ষ্য নিয়ে ৩২টি আসন জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যুবদের বেরিয়ে আসতে হবে, ভয়ের কিছু নেই। অপশাসনের প্রতিবাদ করতে হবে প্রত্যেককে। বাংলায় এই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলই নির্ধারণ করবে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না। এখানকার মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল। তাই তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনতে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা কী দেখেছি? তারা সিপিএমের মতোই কাজ করছে। তৃণমূলের দিনগুলি গণনা করা হয়েছে। আমরা যদি সত্যিকারের উন্নয়ন চাই, তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রয়োজন। তিনি আমাদের হিরা মডেল দিয়েছেন এবং ব্যাপক উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। এর জন্য আমাদের জয়ী হতে হবে। কোন ধরনের সহিংসতা ছাড়া নির্বাচন কীভাবে পরিচালনা করা যায় সেটা করে দেখিয়েছে ত্রিপুরা। 
                       সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী অশোক পুরকাইত, জেলা সভাপতি নবেন্দু সুন্দর নস্কর, জেলা সহ সভাপতি শ্যামা প্রসাদ হালদার, জেলা সাধারণ সম্পাদক পলাশ রানা সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। জনসভাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত থাকেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ